অধিকাংশ মানুষই দুধ চা খেতেই বেশি পছন্দ করেন। যদিও দুধ দিয়ে বানানো চা শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের একেবারেই দুধ চা এড়িয়ে চলা উচিত।
অনিয়মিত এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় সমস্যা। এর জন্য ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত ওজনের মতো সমস্যাগুলি দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। ওজন একবার বেড়ে গেলে তা রাতারাতি কপিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।
একাধিক রকমের শরীরচর্চা, ডায়েট ইত্যাদি নানা রকম চেষ্টায় কেউ কেউ নিজের ওজন কমিয়ে ছিপছিপে চেহারা পেতে পারেন। তবে অধিকাংশ মানুষই ওজন কমানোর চেষ্টায় ডাঁহা ফেল করে শেষে হাল ছেড়ে দেন।
অনিয়মিত এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে ইদানিং অনেকের মধ্যেই ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়ল মানে, জীবন থেকে সব রকম সুখ-আহ্লাদ বুঝি উবে গেল! কিন্তু জানেন কি তেজপাতার চা নিয়মিত নিয়ম নেমে খেতে পারলে ডায়াবেটিস বা ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব!
তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাশিয়াম। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন সকালে তেজপাতার চা পান করলে তা স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। এর সাহায্যে শরীরের বাড়তি ওজনও বিনা কসরতে, ঘাম না ঝরিয়েও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে নেওয়া যাবে।
তেজপাতার চা তৈরি করতে জানেন?
তেজপাতা দিয়ে চা তৈরি করতে ৩টি তেজপাতা লাগবে। এর সঙ্গে প্রয়োজন এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়া, ২ কাপ জল, পাতিলেবু আর মধু। প্রথমে তেজপাতা ধুয়ে একটি পাত্রে জল দিয়ে মাঝারি আঁচে বসিয়ে ফুটতে দিন।
তেজপাতা-সহ জল কিছুটা ফুটে উঠলেই তার মধ্যে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। এটি প্রায় ১০ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। তার পর গ্যাস বন্ধ করে চা ছেঁকে নিন। এবার স্বাদ অনুযায়ী মধু আর লেবু মিশিয়ে নিন। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত পান করুন তেজপাতার চা।
তেজপাতার চায়ে পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আয়রন থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাছাড়া, তেজপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: bangla.aajtak.in এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি, টোটকা এবং দাবিগুলি যাচাই করে দেখেনি। শুধুমাত্র পরামর্শ হিসাবে উল্লেখিত বহুল প্রচলিত টোটকাগুলির কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের কোনও পদ্ধতি, টোটকা খাদ্য উপাদান গ্রহনের পরামর্শ অনুসরণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।