শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর নেপথ্যে থাকে অনেক কারণ। কেউ আক্রান্ত হন ভাইরাসে। কারও আবার ঠান্ডা লাগার কারণে শ্বাসের কষ্ট হয়। এছাড়া নিউমোনিয়া বা হাঁপানির রোগী যাঁরা, তাঁদেরও শীতকালে প্রায়শই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
এর জন্য অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। তবে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে কিছু খাবারদাবারও। সেগুলি শীতকালের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পেতে পারেন রোগীরা।
ড্রাই ফ্রুটস - শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটসের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই শ্বাসকষ্ট থেকে দূরে থাকতে চাইলে ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। ড্রাইফ্রুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং বেশকিছু মিনারেল যা শরীরকে সুস্থ রাখে।
মধু - মধুতে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। মধু ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হলুদের সঙ্গে হালকা গরম মধু খেলে সর্দি ও ফ্লুতে আরাম পাওয়া যায়। রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন এক চা চামচ খাঁটি মধু গরম করে খান।
হলুদ দুধ - হলুদ মেশান দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শীতকালে এই দুধ পান করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং শরীর থেকে রোগ দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন - আলু খেয়েও কমানো যায় ওজন, নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস, কীভাবে খেতে হবে?
টক ফল - সাইট্রাস বা টক ফলও শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী। এগুলি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই শীতকালে আমলকী, কমলা লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে উপকার পাওয়া যায়।
আদা - আদাও শীতকালে বিশেষ উপকার দেয়। আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আদার চা বা কাড়া বানিয়ে পান করলে রোগবালাই দূরে থাকে। এটি শরীরকে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায় এবং রোগ প্রতিরোধ করে। তবে মনে রাখবেন, এই সমস্ত উপাদানই একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতি। তাই শ্বাসকষ্ট বেশি হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।