কাঁচা হোক বা পাকা, পেঁপে দু'ভাবেই খাওয়া হয়। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পেঁপে কতটা উপকারী? এই নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে সাধারণত মানুষের মধ্যে। কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করেন, পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেঁপেতে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টি। তা সত্ত্বেও ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে মিষ্টি বা চিনিযুক্ত স্ন্যাকসের বদলে পেঁপে খাওয়া হেলদি লাইফস্টাইলের জন্য খুবই উপকারী।
পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। হাই ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। এতে দীর্ঘক্ষণ খিদে পাওয়ার প্রবণতা আসে না। এটি হজমের প্রক্রিয়াকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামে একটি এনজাইম। যা প্রোটিনকে হজম করাতে সহায়ক হয়। এতে বদহজমের মতো সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়।
এখানেই শেষ নয়। পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পেঁপে সহায়ক।
পেঁপেতে থাকে ভিটামিন সি। সঙ্গে থাকে লাইকোপেন। এই দুই জিনিস শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে পেঁপে।
পেঁপের মধ্যে ৮৮ শতাংশ জল থাকে। যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। পেঁপে শরীরের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। আর সে কারণে সহজেই এটি ওজন কমানোর জন্য উপকারী হয়ে ওঠে।
পাশাপাশি পেঁপের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম থাকা এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
অনেক ডাক্তারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, নিয়মিত ১৫০ গ্রাম ওজনের বা এক কাপ পেঁপে খাওয়া উচিত। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকা অন্তঃসত্ত্বাদের পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।