মনে করা হয় নারীদের মা হওয়া সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতি। কিন্তু বর্তমানে ভুল জীবনযাত্রার জন্য অনেক মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। এছাড়াও হরমোনের সমস্যাও এর আরেকটি কারণ। এই সমস্যায় মহিলারা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। জেনে নিন এই বন্ধ্যাত্ব দূর করতে চিকিৎসকেরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পুষ্টির ঘাটটি, ওজন বৃদ্ধি, মানসিক বা শারীরিক স্ট্রেস, বিশেষ কোনও ওষুধ, এর কারণ হয় সাধারণত। একটি গবেষণা অনুযায়ী, গর্ভনিরোধক ওষুধ, ধূমপান, মদ্যপান মহিলাদের শরীরে বন্ধ্যাত্বতা নিয়ে আসে অনেক ক্ষেত্রে। এগুলি শরীরের স্বাভাবিক হরমোনে বাঁধা দেয়। যার ফলে বন্ধ্যাত্ব ছাড়াও গর্ভপাতও হয়।
যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময়ে কোনও রকমের ইনফেকশন হলে বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে অস্ত্রপাত হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
শুধু তাই নয়, এন্ডোমেট্রিওসিস অর্থাৎ পিরিয়ডের সময়ে খুব ব্যথা হলে, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দৈনিক জীবনযাত্রার পরিবর্তন খুবই প্রয়োজনীয়।
এছাড়াও বর্তমানে বহু মহিলারাই পিসিওএস- র সমস্যায় ভোগেন। ফ্যালোপিয়ান টিউবে সিস্ট হলেও বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। আসলে এই সমস্যাগুলি গর্ভাশয়ে ডিম উৎপাদন করতে বাঁধা দেয় এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের হ্রাস ঘটায় নারী দেহে ৪০ বছরের আগের মহিলাদের। তাই চিকিৎসকেরা বারবার পরামর্শ দেন, অত্যাধিক মেদ কমানোর পাশাপাশি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে সুস্থ থাকতে গেলে।
কোনও রকম অ্যাকোহল, তামাকজাত দ্রব্য সহ যে কোনও নেশার জিনিস বর্জন করতে হবে বন্ধ্যাত্ব দূর করতে চাইলে।
বন্ধ্যাত্ব দূর করতে মানসিক স্ট্রেস কাটানো খুবই প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন ও শরীরচর্চা করতে হবে নিয়মিত। তবে সাবধান শুরু মেদ বাড়লে না, অত্যাধিক ওজন কমলেও বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।