শীতের মরসুম প্রায় এসেই গেছে। আর শীতে মানেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে মূলত জলের অভাব হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আসলে শীত এলেই অনেকে জল খাওয়া কমিয়ে দেয়, যার কারণে শুষ্ক ত্বক ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়।
শীতকালে ত্বক ও চুলের যত্নে পাশাপাশি ঠোঁটের বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি শীতের শুরু থেকেই ঠোঁটের খেয়াল রাখেন, তাহলে পরে গিয়ে সমস্যা কম হবে।
আপনি যদি এই শীতে আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও কোমল রাখতে চান, তাহলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শরীরে জলের ঘাটটি হলে, অন্যান্য অংশের পাশাপাশি ঠোঁটেও তার প্রভাব পড়ে। আপনার ত্বকের মতো, আপনার ঠোঁটেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন, ঠোঁট ফাটা রোধ করতে।
কোমল ঠোঁট পেতে, রোজ রাতে ঘুমানোর আগে মধু লাগাতে পারেন ঠোঁটে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে, নরম কোনও কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে, গোলাপজলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগালে দারুণ উপকার মিলবে। ঘুমানোর আগে, সমপরিমাণ গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। খুব শীঘ্রই সুফল দেখতে পাবেন।
আঙুলের ডগায় সামান্য দেশি ঘি নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল করে এবং এর ফলে ফাটা ঠোঁট থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
রাতে ঘুমানোর আগে নাভিতে সর্ষের তেল লাগান। এটি শরীরে, ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং ফলস্বরূপ ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হয়ে কোমল ঠোঁট পেতে পারেন আপনি।
গোলাপ গাছের পাতা ও কিছু গোলাপের পাপড়ি বেটে, সেই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগালেও ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হতে পারে সহজে। এতে আপনার ঠোঁট কোমল হবে খুব তাড়াতাড়ি।
ঠোঁটের ক্ষতি এড়াতে লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই লিপগ্লস লাগান। এছাড়া আপনার ঠোঁট শুষ্ক হলে, শীতকালে ম্যাট লিপস্টিক না লাগিয়ে ক্রিম সমৃদ্ধ লিপস্টিক লাগান। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। লিপস্টিক লাইনার, লিপস্টিক, বা লিপগ্লস, ঠোঁটের জন্য ভাল জিনিসই ব্যবহার করতে হবে।