পেয়ারা খেতে যতটা সুস্বাদু তেমনই এর উপকারীতাও রয়েছে প্রচুর। শীতকালে রোদে বসে পেয়ারা খাওয়ার মজাটাই কিন্তু একেবারে অন্যরকমের। পেয়ারায় রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
পেয়ারার নরম ও রসে ভরা জায়গায় রয়েছে ছোট ছোট বীজ। অনেকেই পেয়ারার এই বীজ খেতে ভালোবাসেন না। তাই এটাকে বের করে দেন অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন শুধু পেয়ারা নয়, এর বীজেও রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিছু উপাদান।
পেয়ারার বীজে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও খনিজ পদার্থ। পেয়াার সঙ্গে তার বীজ খেলেও তা শরীরের জন্য ভালো। পেয়ারা বীজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বহু সমস্যার সমাধান এক মিনিটেই করে দেয়।
পেয়ারার বীজ খেলে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়। আসলে এর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। পেয়ারার বীজ খেলে মলত্যাগ সহজ হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এর পাশাপাশি পেয়ারার বীজ সরাসরি গিলে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
পেয়ারার বীজ খেলে তা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে কোলেস্ট্রলের মাত্রা একেবারে থাকে না। পেয়ারার বীজে ফাইবারের মাত্রা অধিক পরিমাণে থাকে। পেয়ারার বীজ খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট কমে এবং তা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ আমাদের পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। যার কারণে দীর্ঘ সময পর্যন্ত আমাদের ক্ষিদে পায় না। তাই ওজন কমাতে হলে ডায়েটে পেয়ারা ও তার বীজ অবশ্যই রাখুন।
উচ্চ রক্তচাপের রোগী যারা তাদের পেয়ারার বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আসলে, পেয়ারার বীজে রয়েছে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। পেয়ারার বীজ খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালনা আরও ভালো হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
পেয়ারার বীজ খাওয়া ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত প্রোটিন পাওয়া যায়, যা চিনি এবং চিনির যৌগ ভেঙে দিতে সাহায্য করে। এটি মিষ্টি খাবার সহজে হজম করে। পেয়ারার বীজ শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমায়, যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে।
কীভাবে খাবেন এই পেয়ারার বীজ? পেয়ারা খাওয়ার সময় এর বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া আপনি এই বীজগুলিকে বের করে তা পিষে পেয়ারার জুস বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, আইসক্রীম বা ফ্রুট স্যালাডে এই বীজ ব্যবহার করে তা খেতে পারেন।