Advertisement

লাইফস্টাইল

ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা, এই বিষয়গুলি নিয়ে সজাগ হোন

Aajtak Bangla
  • 27 Jan 2021,
  • Updated 9:19 PM IST
  • 1/9


সমীক্ষাটা চমকে ওঠার মতোই। কারণ বন্ধ্যাত্ব শুধু মেয়েদের সমস্যা নয়। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দেশে পঞ্চাশ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের ঘটনায় পুরুষদের সমস্যা দায়ী। আমূল বদলে যাওয়া লাইফস্টাইল অন্যান্য অসুখবিসুখের সঙ্গে বাড়াচ্ছে বন্ধ্যাত্ব।
 

  • 2/9

এদেশে পুরুষদের ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ  রোজকার জীবনযাত্রা। এর ফলে শুক্রাণুর পরিমাণ কমার সঙ্গে সঙ্গে তার গুণগত মানও খারাপ হচ্ছে। সাধারণত প্রতি সিসি সিমেনে ৮০ থেকে ১২০ মিলিয়ন গতিশীল স্পার্ম থাকলে পুরুষদের পিতৃত্বে কোনও অসুবিধে হয় না। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে।

  • 3/9

 এই সমস্যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশেরই। সাধাতন ভাবে প্রতি সিসি সিমেনে কুড়ি মিলিয়ন (অর্থাৎ ২ কোটি) বা তার কিছুটা কম স্পার্ম থাকলেও পুরুষদের বাবা হতে কোনও অসুবিধে হবার কথা নয়। তবে শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে কমতে দশ মিলিয়নের থেকেও কম হয়ে গেলে তখন সমস্যা দেখা দেয়।
 

  • 4/9


ভারতে ৬ জোড়া দম্পতির এক জোড়া সন্তানহীনতার শিকার। শহরাঞ্চলে বন্ধ্যাত্বের হার বেশি। আইএসএআর এর হিসেবে ২০১৯ সালে এ দেশে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭৫ লক্ষ। মেয়েদেরই  প্রধানত বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী করা হয়। তবে এই ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে পুরুষদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, দাবি চিকিৎসকদের।

  • 5/9

সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে মেয়েদের তুলনায় ১.৫% বেশি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে। যে দম্পতিরা বন্ধ্যাত্বের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন দেখা গিয়েছে এঁদের মধ্যে প্রতি তিনজনে সমস্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে। ভারতে ১২ থেকে ১৮ মিলিয়ন দম্পতি প্রতি বছর নিঃসন্তান হওয়ার সমস্যায় জর্জরিত হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)র মতে, ভারতে এই সমস্যার ৫০ শতাংশই পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের ফলে হয়ে থাকে।
 

  • 6/9

পুরুষ বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, ফিটনেসের অভাবের জেরে এই সমস্যা আরও বাড়ে।
 

  • 7/9

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।
 

  • 8/9

বেশি গরমে শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যায়। তাই কোলে ল্যাপটপ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।

  • 9/9

এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।  শুক্রাণুর সমস্যার চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনযাপনে বদল করা জরুরি। ধূমপান ও মদ্যপানের নেশা ছাড়তে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করে ওজন স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। 

Advertisement
Advertisement