রোজ একঘেয়ে খাবার রাঁধতে গিয়েও অধৈর্য লাগে আর খেতে তো মোটেই ভাল লাগে না। শীতকাল মানেই ভাল মন্দ খাবার সময়ে। তাই খানিকটা স্বাদ বদল করতে শীতের ফল দিয়েই রোজকার রান্না সেরে ফেলুন। জিভেও টেস্ট আসবে, হাত চেটেপুটে খাবে প্রিয়জন, সঙ্গে বাড়বে রাঁধুনির স্কিলও।
শীতের আলগা দুপুরে বাজার থেকে এসেছে। একঘেঁয়ে ঝোল না রেঁধে টুইস্ট আনুন হেঁশেলে। রেঁধে ফেলুন কাতলা কমলা। খাবার রাঁধতে কিংবা পরিবেশন করতে এমন কিছু ঝক্কি পোয়াতে হবে না।
৪-৫ টুকরো কাতলা মাছ, ১ টেবিল চামচ হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ আদাবাটা, ১ চা চামচ ধনেগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন ও চিনি, ১ কাপ কমলা লেবুর রস, আধ কাপ কমলালেবুর শাঁস নিয়ে শুরু করুন রান্না।
পরিমাণমতো সাদা তেল, ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, আধ চা চামচ গোটা জিরে, ১টি তেজপাতা, ১টি শুকনো লঙ্কা, আধ চা চামচ গোটা গোলমরিচ, ১টি এলাচ, ১ টুকরো দারচিনিও লাগবে এই রেসিপি তৈরি করতে।
প্রথমে নুন-হলুদ মাখিয়ে মাছগুলি হালকা করে ভেজে নিন। ছোট একটি বাটিতে আদাবাটা, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, নুন, চিনি আর জল দিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে আলাদা করে রেখে দিন।
এ বার কড়াইয়ে গোটা মশলা ফোড়ন দিয়ে গুলে রাখা মশলার মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, আঁচ যেন ঢিমে থাকে। না হলে মশলা পুড়ে যাবে।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে গরম জল ঢেলে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন। এ বার মিনিট পাঁচেক পর মাছের ঝোলে কমলালেবুর রস আর শাঁস দিয়ে দিন। সব শেষে জলে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মিনিট দুয়েক ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
সবার পছন্দের এই রেসিপি এরপর বেশিদিন করার সুযোগ পাবেন না। কারণ কমলালেবুর মরশুম একবার চলেছে গেলে এ বছর আর প্রিয়জনদের আপনার সেরা রেসিপিটা খাওয়ানো হবে না। তাই দেরি করবেন না, এই প্রণানী দেখে চটপট রেঁধে ফেলুন কাতলা কমলা।
আজকাল অনেকেই আর কাতলা কালিয়া বা দই কাতলা পরিবেশন করতে চান না বাড়িতে আসা অতিথিদের। কমলালেবু দিয়ে মাছের এই রেসিপিও কিছু কম যায় না।