দুধের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সকলেরই জানা। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, পটাশিয়ামের মতো একাধিক উপাদান রয়েছে এই পানীয়তে। এছাড়াও শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে দুধ।
গবেষকেরা দুধের বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। মনে করা হচ্ছে শরীরের জন্যে উপকারী হলেও, অত্যাধিক পরিমাণে দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক।
আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড প্রিভেনশন রিচার্জ সেন্টারের নিউট্রিশন গবেষক ও প্রফেসর ক্রিস্টোফার গার্ডনার ডিসকভার ম্যাগাজিনকে জানিয়েছেন, দুধে কোনও অনন্য পুষ্টি নেই। যদিও এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে। কিন্তু দুধ ছাড়াও আরও অনেকগুলো খাবার থেকেও এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দুধে এমন কোনও বিশেষ জাদুকরী উপাদান নেই। যে সমস্ত দেশে বেশি পরিমাণে দুধ পান করা হয়, সেখানে হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও অনেক বেশি ঘটে। যা থেকে প্রমাণিত হয় বেশি বা কম পরিমাণে দুধ পান করা কখনোই শরীরের উপর প্রভাব ফেলে না। এছাড়াও আরও অনেক খাদ্য আছে যা হাড় শক্ত করে।
অনেকেরই দুধে অ্যালার্জি থাকে। যেটাকে ল্যাকটোজ ইনফ্লুয়েন্স বলে। এই ধরনের মানুষেরা দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না। যার ফলে তাঁদের পেট ফুলে যাওয়া সহ পেটের অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
একটি গবেষণা অনুযায়ী গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষের ল্যাক্টোজেনে সমস্যা রয়েছে। ল্যাক্টোজেন ছাড়াও দুধজাত উপাদান বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষত্রে তাঁদের কমলালেবু, শাক সবজির মতো পুষ্টিকর খাবার ডায়েটের রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দুধ ও রোগ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধিক পরিমাণে দুধ খেলে তা শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক। বিশেষ করে গরুর দুধ খেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
এমনকী পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সার, মহিলাদের এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের মতো রোগের সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও ক্রিম দুধে, প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে। এই দুটিই হার্ট ও ব্লাড প্রেসারের সমস্যা বাড়ায়। চিকিৎসকেরা মনে করেন লো-ফ্যাট দুধ খেলে এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য খাবারের থেকে পুষ্টিগুণ নিলে তা অনেক বেশি উপকারী।