Darjeeling Hills Cool Weather: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ও তারও বেশি। বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। নিতান্তই যাঁদের বের হতে হচ্ছে, তাঁদের অবস্থা দূর্বিষহ।
প্রবল দাবদাহে জ্বলছে দুই মেদিনীপুর, জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রাম। উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিকের মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরও যোগ্য সঙ্গত করছে। সর্বত্র বইছে তাপপ্রবাহ।
তাপপ্রবাহে পিছিয়ে নেই পাহাড়ের পাদদেশ শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারও। দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে খানিকটা কম হলেও গত কয়েকদিনে পারদ চড়েছে অনেকটাই। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে ৩৮ ডিগ্রি, আলিপুরদুয়ারে ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা চলছে।
তবে এসমস্ত আলোচনা থেকে বহুদূরে এ রাজ্যেরই দুই জেলার চরম উত্তর অংশ। বুঝতেই পারছেন কোন এলাকার কথা বলছি। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার বিভিন্ন এলাকা এখনও কুল।
শীতের মতো হাড়কাঁপানো নয়, বরং শিরশিরে হাওয়ায় দুর্দান্ত আবহাওয়া। পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে ছুটে আসা ঠান্ডা হাওয়া আর পাহাড়ি ঝোরার তিরতিরে শব্দের কলতান শুনতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
প্রতি বছর জুনের সময় গরমেপ ছুটিতে ভিড় বাড়ে। এবারে সরকারি স্কুলে ছুটি এগিয়ে আসায় আগে থেকেই ভিড় জমেছে ঠান্ডার খোঁজে।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় পারদ আরও চড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সেদিক থেকে যেন এয়ারকন্ডিশনড দার্জিলিং পাহাড়।
দার্জিলিংয়ে দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ এদিন ২৯ ডিগ্রি পৌঁছলেও গড় তাপমাত্রা ২১-২৪ ডিগ্রি ছিল। কালিম্পংয়েও ২৭-৩০ ডিগ্রি গড়ে তাপমাত্রা ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি। কার্শিয়াংয়ে দিনের গড় ২৩ ডিগ্রি ছিল। ফলে সমতলের তুলনায় আবহাওয়া কতটা আরামদায়ক বুঝতেই পারছেন।
দার্জিলিংকে টেক্কা দিচ্ছি সিকিমও। ৩ দিন আগে বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছিল পূর্ব সিকিমের একাধিক জায়গা। সেখানেও তাপমাত্রাও কম, আবহাওয়া ঠান্ডা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও পাহাড় এবং সমতলের কয়েকটি জায়গায় ঝড়, বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তা হলে পাহাড় ও লাগোয়া সমতলে এক ধাক্কায় পারদ কয়েক ডিগ্রি নামতে পারে।