প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সুস্থ জীবনের জন্য সঙ্গম, যৌনতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। অনেক পুরুষই অলসতা এবং অসাবধানতার ফলে সঙ্গমের সময় কয়েকটি জরুরি বিষয় উপেক্ষা করেন বা ভুল করে ফেলেন।
এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয় যে, যাঁরা প্রথমবার সেক্স করেছেন ভুলও শুধুমাত্র তারাই করবেন। অনেকেই আছেন যাঁরা অজান্তেই বছরের পর বছর ধরে সঙ্গমের সময় একই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি করে চলেছেন। ফলে অকালেই তাঁদের যৌন জীবন একঘেয়ে হয়ে যায়।
অধিকাংশ মহিলাই তাঁদের যৌন জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কিন্তু এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতেও তাঁরা ইতস্তত করেন। সামান্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রেখে মিলিত হলেই তৃপ্তিদায়ক দীর্ঘ যৌন জীবন পেতে পারেন দু’জনেই। চলুন তৃপ্তিদায়ক সঙ্গমের স্বাদ পাওয়ার ৫টি অপরিহার্য শর্ত সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
সম্পর্কে যদি মহিলা তার প্রতি সঙ্গীর ভালবাসা, আকর্ষণ এবং উদ্দীপনা অনুভব না করেন তবে, তিনিও সঙ্গমে দ্রুত উৎসাহ হারাবেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা শারীরিক ঘনিষ্ঠতার কথা ভাবতেও পারে না। ফলে সম্পর্কে পুরুষ সঙ্গীকে সঙ্গমের ক্ষেত্রে অধিক স্ফুর্তি, উৎসাহ এবং নতুনত্ব নিয়ে ঝাঁপাতে হবে। ‘ফোর প্লে’র সাহায্যে সঙ্গীনিকে সঙ্গমের জন্য উদ্দীপিত করে তুলতে হবে।
দৈনন্দিন কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও অন্তরঙ্গতার জন্য সময় বের করুন। ঠাট্টা বা খেলার ছলে সঙ্গীনিকে সঙ্গমের জন্য আকর্ষিত করে তুলুন। কাজের শারীরিক-মানসিক ক্লান্তি কাটাতে দীর্ঘমেয়াদী ‘ফোর প্লে’র আশ্রয় নিন। যখন দু’জনেই চরম উদ্দীপনা অনুভব করবেন, তখন সঙ্গমে লিপ্ত হন।
পরিপূর্ণ সঙ্গমের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজন। তাই অভ্যাস মতো শারীরিক মিলনে তৃপ্তি না-ও মিলতে পারে। এর জন্য সঙ্গী-সঙ্গীনির মন আর পছন্দ বুঝে সঙ্গমের ভঙ্গি স্থির করুন। প্রয়োজনে সাধ্য মতো একাধিক ভঙ্গিতে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে নতুনত্ব খুঁজে পাবেন।
মহিলারা তাঁদের চেহারা, ফিগার সম্পর্কে খুব সংবেদনশীল। ওজন বেড়ে যাওয়া বা সঙ্গী তাঁর আকর্ষণ বা ভালোবাসা প্রকাশ না করায় তাঁদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে মহিলারা যৌন জীবনেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীনির চেহারা, ফিগার বদলানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁকে যৌনতায় উৎসাহিত করুন, তাঁর পছন্দ বুঝে আদরে, আবেগে তাঁকে তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিন।
যৌন হতাশা অধিকাংশ সম্পর্ককেই নষ্ট করে দেয়। বেশিরভাগ মহিলাই যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দটা মন খুলে সঙ্গীকে জানাতে বা বোঝাতে পারেন না। সময় নিয়ে একটু একটু করে সঙ্গীনির পছন্দ আর অবচেতনে লুকিয়ে থাকা ভাললাগাগুলোকে খুঁজে বের করুন। এটাও কম রোমাঞ্চকর ব্যপার নয়!