আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল। এই বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর। ফলে এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। আখরোটের জাদুকরী গুণ রয়েছে, যা অনেকের অজানা। আসুন জানা যাক কী কী উপকারিতা রয়েছে।
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। শীতকালে অবশ্যই আখরোট খাওয়া উচিত। রাতে ভেজানো আখরোট নিয়মিত খান সকালে, নানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে।
আখরোটে রয়েছে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড (ALA) যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি রূপ। এটি রক্তের ধমনীতে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বলা যায় মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতে সহযোগী আখরোট।
ব্লাড সুগার ও ডায়াবেটিসেও আখরোট উপকারী। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং শরীর থেকে রক্তে শর্করাকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তিন - চারটি আখরোট খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।
আখরোটে উপস্থিত আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড হাড় মজবুত করে। এছাড়া এটি ব্যথা উপশমকারী হিসেবেও কাজ করে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাবে শরীরে ব্যথা দূর করতেও আখরোট সহায়ক।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে রয়েছে ওমেগা ৩, প্রোটিন এবং ফাইবার, যা দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আখরোট একটি দুর্দান্ত বিউটি টনিক, যা ডার্ক সার্কেল, শুষ্ক ত্বক, পিম্পলের মতো সাধারণ সমস্যাগুলি দূর করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৫ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বকে নতুন প্রাণ যোগায়। ত্বক সম্পর্কিত বেশিরভাগ সমস্যার সমাধানে আপনি আখরোটের উপর নির্ভর করতে পারেন।
ভিটামিন বি হল স্ট্রেস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। তাই আখরোটে এক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী। এমনকি অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে এই বাদাম জাতীয় ফল।
আখরোট চুলের দারুণ খাদ্য। এতে মজুত বায়োটিন চুল স্ট্রেট করতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে আখরোটের হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। ভেজানো আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে কোনও কিছুই অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়া ভাল না। এজন্যে প্রয়োজনে পরামর্শ করতে পারেন আপনার চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের সঙ্গে।