ডিসেম্বর থেকেই লাগবে পিকনিকের ধুম। কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকায় থাকলে কোথায় একদিনে গিয়ে ফিরে আসতে পারবেন এরকম পিকনিক স্পট খুঁজলে ১০টি সেরা জায়াগ জেনে নিন। আর আগেভাগে পিকনিকের জন্য বুক করুন, পরে বুকিং নাও পেতে পারেন।
দেউলটি
কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি দেউলটিতে। পিকনিকের জন্য আদর্শ জায়গা। কলকাতা থেকে প্রায় ৬৫ কিমির মতো দূরত্বে অবস্থিত। প্রকৃতির মাঝে নিরালায় পিকনিক করতে পারবেন। ঘুরে দেখতে পারবেন শরৎচন্দ্রের বাড়িও। কত দূরঃ প্রায় ৬৫ কিমির মতো দূরত্ব। হাওড়া জেলার সামতাবেড়ের কাছে এই ডেস্টিনেশন। হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া লোকাল ধরে নিয়ে পৌঁছতে পারেন। গাড়িতে এলে এনএইচ১৬ ধরবেন।
কুলপি নিশ্চিন্তপুর পয়লা নম্বর
এই জায়গাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকালে করে আসতে হবে নিশ্চিন্তপুরে। ভাড়া লাগবে ১৫ টাকা। সেখান থেকে টোটোতে চেপে পয়লা নম্বর (ঘাট)। দুর্দান্ত একটি পিকনিক স্পট। নদীর তটবর্তী এলাকায় ঘুরে বেড়ালে মনে হবে অন্য কোনও রাজ্যে এসে পড়েছেন।
নীল দীপ গার্ডেন
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে রয়েছে সুসজ্জিত নীল দীপ গার্ডেন। এখানে সুন্দর বাগান, রিসর্ট, রুমও পাবেন। খুবই সুসজ্জিত একটি বিনোদন পার্ক। ছোটদের জন্য খেলার নানারকম বিনোদন সামগ্রী আছে। কলকাতা থেক প্রায় ৪০ কিমি দূরত্ব। এখানে অনেক সিরিয়াল, সিনেমার শ্যুটিংও হয়।
নিউ দীঘা পার্ক
নাম নিউ দীঘা পার্ক হলেও এটি অবস্থিত হুগলির চন্দননগরে। সুসজ্জিত, মনোরম এই পার্কের নাম হল নিউ দীঘা পার্ক। দিল্লি রোডের পাশেই অবস্থিত নিউ দীঘা পার্ক। হুগলি জেলা পরিষদের উদ্যোগে এখানে গড়ে উঠেছে সুন্দর পিকনিক স্পট৷ নানারকম ফুল, বাহারি গাছে ছাওয়া স্পটটিতে একদিন বেড়াবার সবরকম সুবিধাই রয়েছে৷ কলকাতা থেকে দিল্লি রোড ধরে প্রায় ৫০ কিমি। গাড়ি ভাড়াা করে বা হাওড়া স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন ধরে চন্দননগর নেমে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন।
গাদিয়াড়া
হুগলি নদীর তীরে বসে পিকনিক করার সেরা জায়গা গাদিয়াড়া। এখানে রাতে থাকতে হলে অনেক হোটেল, লজও পাবেন। কলকাতা থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত। প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে। এখানে এলে তিনটি নদীর মিলনস্থল দেখতে পাবেন। হুগলি, ভাগীরথী ও রূপনারায়ণ। নদীর তীরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সেরে ফেলুন এবছরের পিকনিকটা।