বিয়ের পরে মহিলাদের কুমারীত্ব পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আর তার জেরে মহিলারা এমন সব টেস্ট বিয়ের আগে করাচ্ছে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। সম্প্রতি সেই সব আইনের নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। সরব হয়েছেন ব্রিটিশ এমপি অ্যান্টনি হিগিনবোথাম।
হিগিনবোথাম জানান, "নারী এবং মেয়েদের নিজেদেরকে 'বিয়ের প্রথম রাতে রক্ত দেখা হবে' এই ধারণা থেকে মুক্ত করতে হবে।" এই চর্চার চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোন ভিত্তি নেই। এই ধরনের অভ্যাস শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষতি করে
তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই 'কুমারীত্ব পরীক্ষা' কিংবা অপারেশনউভয়ই প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি নারী ও মেয়েদের প্রতি এই সহিংসতার অবসান ঘটাতে।
রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এখানকার নারীরা এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য হয়, অথবা তারা বাধ্য হয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
এই কমিটিও যুক্তরাজ্যে কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং হাইমনোপ্লাস্টি নিষিদ্ধ করারও দাবি করেছে। যদিও এখনও সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি
একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অন্তত কয়েক হাজার মহিলা হাইমনোপ্লাস্টি টেস্ট করিয়েছেন। কিন্তু এর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
তবে ব্রিটেনে এই পদ্ধতি নিষিদ্ধ হয়নি। আইন কয়েকজন সাংসদ এই আইন নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন এখন।