সৌরঝড় অর্থাৎ জিওম্যাগনেটিক বা ভূচৌম্বকীয় ঝড় ইতিমধ্যে দাপট দেখিয়েছে পৃথিবীতে। খুব বেশি একটা প্রভাব দেখা না গেলেও, এর প্রভাবে পৃথিবীর কিছু অঞ্চল থেকে আকাশে সবুজ রংয়ের আলো দেখা যায়, যা অরোরা কিংবা মেরুপ্রভা হিসেবে পরিচিত। (প্রতীকী ছবি-গেটিইমেজেস)
নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি বলেছে যে এটি শক্তিশালী সৌর ঝড়। যা আমেরিকায় তরঙ্গ পাঠিয়েছে। তবে এতে প্রচুর দেশের মহাকাশ কার্যকলাপ ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষ করে যে সব দেশের উপগ্রহ উত্তর গোলার্ধে রয়েছে।
সূর্য অনেক বছর ধরে শান্ত ছিল। এটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আবার সক্রিয় হয়েছে। এর নতুন সৌরচক্র শুরু হয়েছে। যাকে সোলার সাইকেল ২৫ বলা হচ্ছে । নতুন সৌরঝড় খুবই বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকর।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে এমন একটি বিপর্যয়কর সৌর ঝড় আসবে, যা পৃথিবীতে ইন্টারনেট বসিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ সারা বিশ্বের ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সৌর ঝড় হলে বৈদ্যুতিক গ্রিডগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্ধকার হয়ে যায়। কিন্তু ইন্টারনেটেও প্রভাব ফেলে এই ঝড়। যদি এই সিস্টেমটি সৌর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট কয়েক দিনের জন্য বন্ধ বা এমনকি ব্যাহত হতে পারে। ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অফলাইন থাকবে।
১৯৮৯ সালের সৌর ঝড়ের জেরে উত্তর-পূর্ব কানাডার কুইবেকের হাইড্রো পাওয়ার গ্রিড বসে যায়। ৯ ঘণ্টা ধরে দেশের অর্ধেক অন্ধকার থাকে। কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না।
তবে গত দুই দশক ধরে সৌর ঝড় হয়নি। সূর্যের কার্যকলাপ খুবই দুর্বল। এর মানে এই নয় যে সৌর ঝড় হতে পারে না। মনে হচ্ছে সূর্যের নিস্তব্ধতা একটি বড় সৌর ঝড়ের আগে নীরবতা।