Advertisement

স্পেশাল

আগামী ৯ বছরে ডুবতে পারে বিশ্বের এই ৯ শহর, আছে কলকাতাও!

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 05 Nov 2021,
  • Updated 12:20 PM IST
  • 1/10

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বিশ্বের অনেক শহর ২০৫০ এবং ২১০০সালের মধ্যে তলিয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্বের এই নয়টি শহর আগামী ৯ বছরে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ ও বন্যার কারণে তলিয়ে যেতে পারে। ভারতের কলকাতা শহরও এই তালিকায় রয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ক্রমবর্ধমান সতর্কতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ক্লাইমেট সেন্ট্রাল নামের একটি প্রকল্প। এই ৯টি শহরের ডুবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন শহরে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে এই প্রতিবেদনে। (সব ছবি প্রতীকী)
 

  • 2/10

আমস্টারডাম, রটারডাম এবং নেদারল্যান্ডের রাজধানী হোগের মতো শহরগুলি কম উচ্চতায় রয়েছে। এগুলো উত্তর সাগরের কাছাকাছি অবস্থিত। ডাচ দেশগুলি বন্যা প্রতিরোধের প্রযুক্তির জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। কিন্তু যেভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে তা আশঙ্কা বাড়ছে। কোনও বাঁধ, ফ্লাডগেট এই জল ঠেকাতে পারবে কিনা সন্দেহ। তবে প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করা হলে শহরগুলোকে কিছু সময়ের জন্য রক্ষা করানো যাবে।

  • 3/10

ইরাকের প্রধান বন্দর শহর বসরা শাত আল-আরব নামে একটি বড় নদীর তীরে অবস্থিত। আবার শাত আল-আরব নদীটি পারস্য উপসাগরে মিলিত হয়েছে। শহরটি বেশ কয়েকটি খাল এবং ব্যাক ওয়াটার চ্যানেলের মাধ্যমে উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত। এই কারণে এই শহরের চারপাশে অনেক জলাভূমি রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বিপদে পড়বে এই শহরটি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বসরা পানিবাহিত রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যা হলে এই শহরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

  • 4/10

আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরের মাঝখানে প্রচুর খাল রয়েছে। এই খালগুলি  শহরকে বন্যা থেকে রক্ষা করে। শহরের উত্তরে মাউরেপাস হ্রদ, দক্ষিণে সালভাদর হ্রদ এবং একটি ছোট হ্রদ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বাড়লে এই শহর বিপদে পড়বে। 

  • 5/10

ইতালির ভেনিস শহরটি জলাশয়ের মাঝেই গড়ে উঠেছে। প্রতি বছর জোয়ারের কারণে বন্যা হয়। এই শহরে দুই ধরনের বিপদ রয়েছে। প্রথমত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং দ্বিতীয়ত এই শহর নিজেই ডুবে যাচ্ছে। এটি প্রতি বছর ২ মিলিমিটার নিচে নামছে এই শহর। নিউ অরলিন্সের মতো ভেনিসেও বন্যা প্রতিরোধে প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতিবছর বন্যা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বাড়লে ২০৩০ সালের মধ্যে এই শহর জলের নিচে তলিয়ে যাবে। যা সামলানো কঠিন হবে।

  • 6/10

ভিয়েতনামের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত হো চিন মিল এই শহরটি সম্পূর্ণ সমতল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা খুব বেশি নয়। এটি থু থিয়েম নামে জলাভূমিতে অবস্থিত। এর সবচেয়ে বড় ভয়  আসে মেকং ডেল্টা থেকে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই ব-দ্বীপের জলের উচ্চতা। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে হো চি মিন সিটি জলের নিচে তলিয়ে যাবে। 

  • 7/10

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা এবং এর আশেপাশের জমি বহু শতাব্দী ধরে উর্বর হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের মানচিত্র দেখি, তাহলে এই শহরের জন্যও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকি অনেক বেশি। হো চি মিন সিটির মতো এই শহরটিও বর্ষার বৃষ্টি এবং উচ্চ জোয়ারের সমস্যায় ভোগে। এখানে বর্ষাকালে জলমগ্ন হয়। বৃষ্টির জলে সহজে নামে না। এর কাছাকাছি অবস্থিত একটি বৃহৎ ব-দ্বীপের এলাকা এটির জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।

  • 8/10

থাইল্যান্ডের পর্যটনের জন্য বিখ্যাত ব্যাংকক শহর বৈশ্বিক উষ্ণতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডের এই রাজধানী সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১.৫ মিটার উপরে। যেমন ভেনিস শহর। ভেনিসের মতো এটিও প্রতি বছর ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার ডুবে যাচ্ছে।
 

  • 9/10

গুয়েনার রাজধানী জর্জটাউন সামুদ্রিক বন্যা থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে দেওয়াল তৈরি করেছে। একপাশে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র এলাকা রয়েছে। যেখানে খুব শক্তিশালী ঢেউ আসে। এর তীরগুলির উচ্চতা ০.৫  মিটার থেকে এক মিটার পর্যন্ত। কিন্তু ভাটার সময় এই উচ্চতা কোন ব্যাপারই না। সাগরের জল দেওয়াল পেরিয়ে শহরে প্রবেশ করে। গুয়েনার জনসংখ্যার ৯০ সতাংশ সমুদ্র উপকূলের কাছে বাস করে।
 

  • 10/10

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় অবস্থিত সাভানা শহরটি হ্যারিকেনের মূল কেন্দ্র। এখানে প্রতি বছর অনেক ঘূর্ণিঝড় আসে। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া এই এলাকা চারদিক থেকে সাগর বেষ্টিত। শহরের অভ্যন্তরে উত্তরে সাভানা নদী এবং দক্ষিণে ওগিচি নদী রয়েছে। যার কারণে এর চারপাশে অনেক জলাভূমি রয়েছে। এই শহরটিকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করতে ২০৫০ পর্যন্ত সময় লাগবে, কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে অনেক বিপর্যয় ঘটবে।
 

Advertisement
Advertisement