আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসিকে ছাপিয়ে সুনীলই এখন নায়ক! দেখুন তাঁর সেই যাত্রা

ইতিমধ্যেই ভারতীয় দল জিতে গিয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের একটি ম্যাচ। আর সেই ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই খবরের শীর্ষে আছে ভারতীয় ফুটবল দল। আর সেই দলেই দুরন্ত ফুটবল দেখিয়েছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।

বল পায়ে সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে ফিফা কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ভারতীয় দল। ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আইগর স্টিমাচের দল।

ছোট বেলায় সিকিমের বাহাই স্কুল, তারপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছিলেন সুনীল। একই সঙ্গে পড়েছেন কলকাতাপ আশুতোষ কলেজে। তবে পরাশুনো নয় মূল ধ্যান দিয়েছিলেন খেলাধুলোর প্রতি। সুনীল ছেত্রীর স্ত্রী হন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবি সোনাম ভট্টাচার্য।

এই ম্যাচে জয় পাওয়ার পর অন্যতম একটি রেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। বল পায়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের জার্সি গায়ে গোল পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা ও বিশ্বের তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন ছেত্রী। সুনীলের ঝুলিতে এখন ৭৪টি আন্তর্জাতিক গোল।
 

ব্যাঙ্গালোরে ১৯৮৪ সালে ৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুনীল। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি ঝোঁক ছিলো ভারতীয় এই ফুটবলারের। ২০০২ সালে মোহনবাগ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন ভারতীয় দলের এই অধিনায়ক। তারপর জেসিটি সহ বিভিন্ন ভারতীয় ক্লাবে খেলেছেন।

ভারতের বড় প্রধান ক্লাব মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলে খেলার পাশাপাশি সুনীল ছেত্রী এখন খেলছেন আইএসএলের মঞ্চে। একই সঙ্গে কলকাতায় খেলতে খেলতে সোনামের প্রেমে পড়েছিলেন সুনীল। ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার ও সুনীলের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের কন্যা সোনামের সঙ্গে বিবাহ হয়েছে সুনীলের। বেঙ্গালুরু এফসির পাশাপাশি সুনীলের কাছে অফার ছিলো মুম্বই সিটি এফসি দলেও।

৩০মার্চ ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব ২০ ভারতীয় দলে অভিষেক করেন সুনীল। সেটাই প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায় খেলেছিলেন সুনীল। পাকিস্তানে সাফ গেমসের ম্যাচ ছিলো সেটি। তারপর ২০০৭ সালে নেহরু কাপে ভারতীয় দলের হয়ে নজর কাড়া পারফর্ম করে দুই গোল করেছিলেন সুনীল।
 

৩ বার নেহরু কাপ জিতেছিল ভারত। আর তিনবারই ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন ছেত্রী। শুধু তাই নয় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপেও ভারতের জয়ের কাণ্ডারি ছিলেন সুনীল। ২০১২ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে অধিনায়কত্বে অভিষেক ঘটেছিল সুনীল ছেত্রীর।

এআইএফএফ প্লেয়ার অফ দি ইয়ারের পুরস্কার ৫বার পেয়েছেন সুনীল ছেত্রী। ২০০৭, ২০১১, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন সুনীল। ৯৭ ম্যাচে তখন সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৫৬।

সুনীল ছেত্রী এই পুরস্কারের পাশাপাশি ভারত সরকারের পুরস্কারও পেয়েছেন। ভারতের ফুটবল অধিনায়ককে অর্জুন ও পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। ২০১১ সালে অর্জুন পুরস্কার জিতেছিলেন সুনীল। ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী পান সুনীল ছেত্রী।