২৭ মার্চ, শনিবার থেকে বাংলায় শুরু হয়ে গেল প্রথম দফার ভোট-পর্ব। আর ভোটের আবহে বাংলায় দেদার বিকোচ্ছে ‘খেলা হবে’ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা নানা রঙের টি-শার্ট!
রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রার্থীর সমস্ত গুণাবলী উপস্থাপিত করে। আগামীর সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত বিষয় স্বপ্ন দেখান। অতি উৎসাহে গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন প্রিয় প্রার্থীকে। এরপর জেতার পর প্রতীক্ষা। স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার প্রতীক্ষা।
কখনও তা সময় লেগে যায় পরের নির্বাচন পর্যন্ত। এ ভাবেই একে ওকে তাকে পরীক্ষা করতেই কেটে যায় জীবনের বেশির ভাগ সময়। আর এর মধ্যেই ব্যবসায়ীরা, সুকৌশলে মুনাফা খুঁজে নেন যথা সময়েই।
বিভিন্ন রঙের আবির, ফ্লেক্স ফেস্টুন ব্যানার, দলীয় বিভিন্ন চিহ্ন, নেতা-নেত্রীর মুখ অঙ্কিত টি-শার্ট, কাগজের ঘুড়তে দলীয় চিহ্ন, উত্তরীয় ব্যাচ টুপি, ছাতা, জলের বোতল, শাড়ি বা যে কোনও পরিধেয় বস্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য বা দলীয় চিহ্ন তৈরি করে তা বিক্রি করে থাকেন নেতা-নেত্রীদের কাছে প্রিয় হওয়া কর্মী-সমর্থকদের।
টি-শার্টে ‘খেলা হবে’ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’— দেদার বিকোচ্ছে নদীয়ার শান্তিপুরে! নদীয়ার শান্তিপুরে সুখেন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁত শাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এই ভাবনা তাঁরই।
দীর্ঘদিন লকডাউন এর ঘাটতি পূরণ করতে বাংলার বিধানসভা ভোট থেকে নতুন কিছু উপায়ে, বাড়তি উপার্জনের চেষ্টা করছেন শান্তিপুরের ব্যবসায়ী সুখেন ঘোষ।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আবেগ, "খেলা হবে" কথাটি টি-শার্ট এর ব্যবস্থা করে সাড়া পেয়েছেন যথেষ্ট! এরপর "জয় শ্রীরাম"লেখা পদ্ম অঙ্কিত গেঞ্জি প্রস্তুত করছেন তিনি।
জোটের প্রতীক নিয়েও কথা চলছে নেতৃত্ব্য সাথে। শুধু শান্তিপুর নয়, বিখ্যাত তাঁত শাড়ি কেনার সুবাদে শান্তিপুরে পৌঁছান রাজ্যের প্রায় সকল বস্ত্র ব্যবসায়ী, তাঁদের মাধ্যমে নতুন এই ব্যবসাটি আরও অগ্রসর হবে বলেই তার বিশ্বাস।