ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে কালা দিবস পালন করল বিজেপি। বারবার পোস্টারে জরুরি অবস্থার কথা লিখে পুরনো রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বহু বিজেপি কর্মীকে খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
বহু কর্মী ঘরছাড়া হয়ে অসম সহ অন্য রাজ্যে পালিয়ে চলে গিয়েছে। যাঁদের ফেরাতে অনুরোধে কাজ হয়নি। আসরে নামতে হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে।
বৃহস্পতিবারও বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার নেতৃত্বে একটি জন প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে।
তারপরই রাজ্যপাল টুইট করে রাজ্যেপ পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। তাতে ট্যাগ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিজেপির তরফে শিলিগুড়িতে কালা দিবস পালন করা হল। এই কালা দিবসের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিধায়করা।
সেই সঙ্গে বিজেপির শিলিগুড়ি ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বরাও এদিন প্রতিবাদে শামিল হলেন তাঁরা।
ইন্দিরা গান্ধীর সময়ের দেশজুড়ে যে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই স্মৃতিটারণ করে রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি তার সঙ্গে তুলনীয় বলে বিজেপি দাবি।
এদিন বিধায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন সহ জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা।
বিজেপি নেতা কর্মীরা শিলিগুড়ির হাসমিচকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন। তবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ লাগাতার চলবে।
বিজেপির তরফ থেকে শুধু শাসকদল তৃণমূল নয়, বিভিন্ন জায়গায় সরকার আধিকারিক, পুলিশ, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়েছে পক্ষপাতিত্ব এবং সরাসরি তৃণমূলের হয়ে কাজ করার।