নদিয়ার যুবশিল্পীর বিশ্বজয়। দেশের সীমানা পেরিয়ে একের পর এক দেশে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর তৈরি শিল্পকলা। সেখানে সমাদার পেয়েছেন। উৎসাহ পেয়েছেন। আবার নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নতুন কিছু তৈরি করবেন বলে। সোশাল মিডিয়া থেকে ঢের দূরে থেকে চুপিসাড়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
রানাঘাট পান্থপাড়ার বাসিন্দা সুমিত সরকার। বয়স ৩২। ভাস্কর্য শিল্প নিয়ে কলকাতা সরকারি আর্ট কলেজ ও শান্তিনিকেতন থেকে পড়াশুনো শেষ করেছেমন। তারপর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে গিয়ে তার প্রতিভার পরিচয় দিয়ে এসেছেন।
তাঁর নাম শুধুমাত্র তার ভাস্কর্য শিল্পকে সামনে রেখে। মুম্বই, গুজরাত, চেন্নাই, দিল্লি, রায়পুর, ত্রিপুরা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেই তার ভাস্কর্য শিল্পের নিদর্শন আছে।
ফিলিপিন্স সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচারপতির মূর্তি বসেছে সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও আমেরিকা, ইতালি ও দুবাইয়ের কাজও চলছে সুমিত সরকারের রানাঘাট পান্থপাড়ার বাড়ি থেকেই তৈরি হয়ে পৌছে যাচ্ছে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
রানাঘাটের সুমিত সরকার ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়া, দুবাই, সৌদি আরবে গিয়ে ভাস্কর্যের কাজ করেছেন।
বর্তমানে ফিলিপিন্স মূর্তি ,ইতালির যিশুর স্ট্যাচু এবং আমেরিকার মিউজিয়ামে রানির অ্যানন্টিক ফেস তৌরি হচ্ছে তার স্টুডিওতে। দেশে তার কাজ বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।
শুধু তাই নয়, ইন্দিরা গান্ধীর ওপর তৈরি হচ্ছে সিনেমা। সেখানে প্রধান চরিত্রে কঙ্গনা রানাউত অভিনয় করছেন। সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর মুখমণ্ডলের প্রতিকৃতি তৈরি করছেন রানাঘাটের সুমিত সরকার। ইতিমধ্যে দেশে মুম্বই আইআইটি, শান্তিনিকেতন তাঁকে পুরষ্কৃত করেছে। বিদেশে অস্ট্রিয়া,সৌদি,ফিলিপিন্সে পুরষ্কৃত হয়েছেন।
বর্তমানে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা তুলে ধরেন। তবে ব্যাতিক্রমী রানাঘাটের সুমিত সরকার। বিশ্ব দরবারে প্রবেশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই।
যা হয়তো জানেন না অনেক নদিয়াবাসীও। তার কাছ থেকে জানা যায়, দর্শকদের আত্মউপলব্ধি প্রয়োজন। আত্মপ্রচার নয়। তবে একটু দেরিতে হলেও আমারই তার এমন প্রতিভা খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছি। যা এক কথায় অনবদ্য। তাঁর শিল্পের ছোঁয়া শুধু নদীয়া জেলা নয়, শুধু রাজ্য নয়, বিদেশেও তার কদর আরও বাড়ছে।