কলকাতা শহরের তাপমাত্রা রবিবারের থেকে সোমবার খানিকটা বাড়লেও শীতের আমেজ ছিল যথেষ্টই। রবিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার তা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি।
এদিকে জেলাগুলোতে আরও নেমে গেছে তাপমাত্রার পারদ। কোথাও কোথাও ছুঁয়েছে ১৩ ডিগ্রির ঘর।
আগামী দু’তিন দিন তাপমাত্রার হেরফের হবে না বলেই খবর। ডিসেম্বর মাস পড়তেই বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব এবং জাঁকিয়ে পড়বে শীত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যের ওপর কোনও নিম্নচাপ অক্ষরেখা নেই। তবে উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে আশা হাওয়ায় এখনও পর্যন্ত খুব জোর নেই। সেই কারণেই আগামী ৩-৪ দিন তাপমাত্রায় কোন পরিবর্তন তেমন ভাবে হবে না।
যেই ঠান্ডাটা এখন আমরা অনুভব হচ্ছে সেটাই থাকবে। তবে ডিসেম্বরের ২ তারিখ নাগাদ এক ডিগ্রি পারদ পতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
বৃষ্টি আগামী ১০-১২ দিন হবে না। ফলে এই সময় আলিপুর আবহাওয়া দফতর কৃষকদের আলুর বীজ লাগাতে বলছে। কারণ যে ঠান্ডাটা আছে তাতে আলোর অঙ্কুর উঠে যাবে।
কলকাতার ক্ষেত্রে যতক্ষণ আর ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতন হচ্ছে না ততক্ষণ দিনের বেলা গরম জামা পরার মতন পরিস্থিতি হবে না।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ঠান্ডার আমেজ চলবে। সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়াো আগামী ৫ দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের রাতের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন হবে না।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াও প্রায় একইরকম থাকতে চলেছে। আগামী ৫ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের রাতের তাপমাত্রার তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
কুয়াশা আমাদের রাজ্যে এই মুহূর্তে তেমন ভাবে নেই। যেহেতু আমাদের রাজ্যে আর্দ্রতা সেরকম কিছু নেই। কেবল রাজ্যের পশ্চিমভাগে হালকা কুয়াশা আছে। ধান ক্ষেত বা যেখানে জল আছে, সেখানে ভোরের দিকে একটু কুয়াশা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। খুব ঘন কুয়াশা হওয়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে কোথাও নেই।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা।