Advertisement

বিশ্ব

Afghanistan Earthquake: ধ্বংসস্তূপেই আটকে পচে মরছেন মেয়েরা, ভূমিকম্পের আফগানিস্তানেও কড়া শরিয়ত আইন, কীরকম?

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • কাবুল,
  • 08 Sep 2025,
  • Updated 12:41 PM IST
  • 1/13

মৃত্যুতেও শরিয়ত আইনের গেরো। ভূমিকম্পে যখন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে শ্মশানে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা, তখন শোক, হাহাকারের মধ্যে শরিয়ত আইন মানার ঘটা তালিবানের আফগানিস্তানে। যার নির্যাস, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা মহিলাদের দেহ স্তূপেই পচে যাচ্ছে। এমনকী আহত অবস্থায় আটকে থাকা বহু মহিলাকে বার করাও হচ্ছে না, তালিবানদের ভয়ে।
 

  • 2/13

সম্প্রতি ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে আফগানিস্তানে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এই উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহিলাদের। বেশির ভাগ মহিলাকেই ফেলে রাখা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচে। আসলে তালিবান সরকার শরিয়ত আইন মেনে দেশে আইন লাগু করেছে।

  • 3/13

সেই আইনে রয়েছে,  সংশ্লিষ্ট মহিলার আত্মীয় পুরুষ ছাড়া, ওই মহিলার শরীর স্পর্শ করা যাবে না। এখন আত্মীয় বা স্বজন খুঁজে না পাওয়ায়, অনেক মহিলাই ধ্বংসস্তূপেই আটকে থেকে মৃত্যু হচ্ছে। না হলে দেহ পচে যাচ্ছে।
 

  • 4/13

তালিবান সরকারের কড়া আইন লঙ্ঘন করলেই কড়া শাস্তির কোপ পড়বে। তাই মহিলা উদ্ধারকারী দল না থাকলে, ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহিলাদের উদ্ধারকাজ। এমনকী মৃতদেহতেও স্পর্শ করছে না সংশ্লিষ্ট দেহের স্বজন নয়, এমন পুরুষ। আর উদ্ধারকাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রায়ই নেই বললেই চলে। ফলে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মহিলাদের পরিস্থিতি এখন আবর্জনার মতো। অনেকে তো আবার জীবিত মহিলাকেও ধ্বংসস্তূপেই ফেলে রেখে দিচ্ছে। যাতে শরিয়ত আইন লঙ্ঘন না হয়। 
 

  • 5/13

কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বিবি আয়েশা বলেন, ওরা আমাদের এক কোণে জড়ো করেছিল, তারপর আর খোঁজই নেয়নি। ভূমিকম্পের ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধারকর্মীরা গ্রামে পৌঁছলেও আহত মহিলারা রক্তাক্ত অবস্থায়,কোনও সাহায্য পাননি।তাঁদের কাছে কেউ যাননি, প্রয়োজন কী সেটাও জিজ্ঞেস করেননি।
 

  • 6/13

একজন স্বেচ্ছাসেবক, তহজীবুল্লাহ মুহাজেব, যিনি নিকটবর্তী মাজার দারা গ্রামে পৌঁছেছিলেন, তিনিও ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহিলারা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অপেক্ষা করছিলেন, অথচ পুরুষ উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের ছুঁতেও সাহস পাননি, অপরিচিত মহিলার  শারীরিক সংস্পর্শে আসার সাংস্কৃতিক বাধার ভয়ে।

  • 7/13

অনেক ক্ষেত্রে পাশের গ্রাম থেকে মহিলারা এসে সাহায্য না করলে চাপা পড়া মহিলাদের বের করা যেত না। মুহাজেব বলেন, মনে হচ্ছিল, মহিলারা যেন অদৃশ্য। পুরুষ ও শিশুদের আগে সেবা দেওয়া হচ্ছিল, আর মহিলারা আলাদা বসে থাকছিলেন চিকিৎসার অপেক্ষায়। কোনও পুরুষ আত্মীয় না থাকলে মৃতদেহও টেনে বের করা হচ্ছিল কাপড় ধরে, শরীরে হাত না দিয়ে।
 

  • 8/13

মাত্র ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,২০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন প্রায় ৩,৬০০ জন। গোটা গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফের তুলে ধরেছে, তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলারা কতটা বৈষম্যের শিকার।
 

  • 9/13

রাষ্ট্রসঙ্ঘের নারী সংস্থার প্রতিনিধি সুসান ফার্গুসন সতর্ক করে বলেছেন, এই বিপর্যয়ের বোঝা আবারও মহিলাদেরই বইতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনকে অবশ্যই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কেন্দ্রে রাখতে হবে।
 

  • 10/13

যদিও তালিবান সরকার আলাদা করে মহিলাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তবে বেঁচে ফেরা মানুষ, চিকিৎসক ও ত্রাণকর্মীরা একবাক্যে বলছেন, মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন, বা খোঁজই মেলেনি।

  • 11/13

সঙ্কট আরও ঘনাচ্ছে মহিলা ডাক্তার ও নার্সের অভাবে। ২০২৩ সালে তালিবান মহিলাদের মেডিক্যাল শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে ডাক্তার-নার্স পাওয়া দুষ্কর, বিশেষত গ্রামীণ ও দুর্গত এলাকায়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প-পীড়িত এক হাসপাতালে সাংবাদিক পৌঁছে দেখেছেন,একজনও মহিলাকর্মী নেই।

  • 12/13

তালিবান শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র শরাফত জামান অবশ্য দাবি করেছেন, কুনার, নানগারহার ও লাগমান প্রদেশের হাসপাতালে মহিলারা কাজ করছেন। তবে পরিস্থিতির বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে।
 

  • 13/13

চার বছর ধরে তালিবানের শাসনে আফগানিস্তান এখন মহিলাদের জন্য বিশ্বের অন্যতম অমানবিক জায়গা। মেয়ে শিশুরা ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে স্কুলে যেতে পারে না। মহিলাদের একা বেরোনোর স্বাধীনতা নেই, অল্প দূরত্বেও পুরুষ অভিভাবক ছাড়া যাওয়া নিষিদ্ধ। চাকরির সুযোগও কার্যত শেষ হয়ে আসছে; বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, অধিকাশ ক্ষেত্রেই মহিলাদের কাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement