আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালিবানিরা। সেই দেশের রাজধানী কাবুলও কব্জা করেছে তারা। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani) দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গোটা দেশে এখন আতঙ্ক। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ।
কিন্তু, কীভাবে কাবুলের মতো অত বড় একটা জায়গাকে ঘিরে ফেলল তালিবানিরা? আসলে আমেরিকার সৈন্যরা আফগানিস্তান ছাড়ার পরই তালিবানিদের হাতে সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে। তারা আয়গে থেকেই সক্রিয় ছিল। শুধু মাত্র আমেরিকার সেনার জন্য কাবুল দখল করতে পারছিল না।
কিন্তু, সেনা সরতেই আফগানিস্তানের একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে তালিবানিরা। রবিবার রাজধানী কাবুলও দখল করে নেয় তারা। কাবুলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তালিবানিদের হুড় খোলা জিপ ও বাইক। আর সেই বাইক ও গাড়িতে ছিল সশস্ত্র তালিবানি জঙ্গিরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কৌশলেই আফগানিস্তানের একের পর এক শহর দখল করে তালিবানিরা। বাইক ও জিপে বসে থাকা জঙ্গিদের হাতে ছিল AK47-এর মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র। ছিল গ্রেনেডও।
রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, সেই সব বাইকে প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি ছিল বাচ্চারাও। তাও সশস্ত্র অবস্থায়। প্রতিটি বাইকে ৩ থেকে ৪ জন ও গাড়িতে বেশি সংখ্যক তালিবানি ছিল। এভাবেই জঙ্গিরা কাবুলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ও একসময় দখল করে নেয়।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বিডেন ঘোষণা করেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবেন তিনি। আর এই ঘোষণা শোনার পরই আরও সক্রিয় হয় তালিবানরা।
এদিকে তালিবানরা কাবুল দখলের পর সেই দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু করেছে অন্য দেশ থেকে যাওয়া নাগরিকরা। এই নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো( NATO)-র সেক্রেটারি৷