লাগাতার দিন দুয়েক বৃষ্টি হলেই অনেকে নাজেহাল হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে জল। এবার ভেবে দেখুন তো যদি কোথাও কোটি কোটি বছর ধরে পাথরের বৃষ্টি হয় তাহলে? মঙ্গল গ্রহেতে লাগাতার ৬০ কোটি বছর ধরে প্রস্তর বৃষ্টি বা Asteroid Showers হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই তথ্য উঠে আসার পর মঙ্গলগ্রহের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের ফের গবেষণা করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নতুন একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে ৬০ কোটি বছর ধরে, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে গ্রহাণু বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই মঙ্গলের পৃষ্ঠে এত গর্ত দেখা যায়। সাধারণত বিজ্ঞানীরা গর্তগুলির বৈজ্ঞানিক গণনা করে গ্রহর বয়স নির্ধারণ করেন। যদি গর্ত বেশি থাকে, তাহলে গ্রহের বয়স বেশিমাত্রায় সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়।
গর্তগুলির তৈরির প্রক্রিয়া খুবই জটিল। কারণ এটি একটি আনুমানিক তথ্য দেয়। অনেক গ্রহাণুই বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে পুড়ে যায়। শুধুমাত্র বড় গ্রহাণুগুলিই গ্রহের পৃষ্ঠে পৌঁছায়। তার কখনই গর্তের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন - লাউদোহায় কয়লা খনিতে চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের ৪
নতুন একটি সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের ৫২১টি গর্ত পরীক্ষা করেন। প্রতিটির ব্যাসই ছিল কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার। তবে শুধুমাতের ৪৯টি গর্ত এমন ছিল যেগুলি ৬০ কোটি বছরের পুরনো। সেখান থেকেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে ৬০ কোটি বছর ধরে Asteroid বর্ষন হয়েছে মঙ্গলে।
অস্ট্রেলিয়ার কর্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহ বিজ্ঞানী তথা এই গবেষণার সদস্য অ্যান্থনি লাগেন বলেন, এই সমীক্ষা পুরনো সেই সমস্ত গবেষণাকে খারিজ করে দিয়েছে যেগুলিতে বলা হয়েছে যে গর্ত কম সময়ের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। কারণ এই গর্তগুলি মূলত বড় গ্রহাণুর ধাক্কায় তৈরি হয়েছে।
অ্যান্থনি লাগেন আরও বলেন, যখন দুটি বড় বস্তুর সংঘর্ষ হয়, তখন সেগুলির টুকরো বিপরীত দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার মহাকাশে ফিরে যায়। সেগুলি গ্রহর কক্ষপথে বা অন্য গ্রহর দিকে ছুটে যায়।
অ্যান্থনি জানাচ্ছেন, Ordovician Spike-এর সময় নিয়ে ফের গবেষণা করতে হবে বৈজ্ঞানিকদের। সম্প্রতি এই গবেষণা, আর্থ অ্যান্ড প্ন্যানেটরি সাইন্স লেটর্সে প্রকাশিত হয়েছিল।