রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের (Russian Space Agency - ROSCOSMOS) প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন হুমকি দিয়ে বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধ হলে রাশিয়া আধ ঘণ্টার মধ্যে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। দিমিত্রি তাঁর উস্কানিমূলক এবং হুমকিমূলক বক্তব্যের জন্য বারবরই পরিচিত। ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে, দিমিত্রি রোগজিন প্রায়শই বিভিন্ন বিচিত্র মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।
গত সপ্তাহে জানা গিয়েছে যে দিমিত্রি রোগজিন (Dmitry Rogozin) স্পেসএক্স (SpaceX) কোম্পানির মালিক এবং আমেরিকান বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ককে (Elon Musk) হুমকি দিয়েছেন।
রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রোগজিন তাঁর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল দিমিত্রি কোরম্যাকভকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে, এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট স্যাটেলাইট টার্মিনাল ইউক্রেনীয় মেরিন এবং নাজি আজভকে দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য মারিউপোল থেকে সামরিক হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়েছিল।
দিমিত্রি রোগোজিন বলেন যে, এলন মাস্ক ইউক্রেনের ফ্যাসিবাদী সেনাবাহিনীকে সামরিক যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহ করছেন।
দিমিত্রি রোগোজিন তাঁর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে, যদি পারমাণবিক যুদ্ধ হয়, ন্যাটো দেশগুলিকে আধ ঘন্টার মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তবে এটা তাঁরা হতে দেবেন না বলেও জানান তিনি। কারণ সব দেশ পারমাণবিক হামলা শুরু করলে পৃথিবীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।
রোগজিন আরও বলেন, তাই যে কোনও দেশকে পরাজিত করতে অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন। সেই জয়ের আনন্দই আলাদা। রাশিয়া তার সামরিক বাহিনী এবং এর সংশ্লিষ্ট শিল্পকে পুরোপুরি যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োগ করতে পারে। এ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে জয় অনায়াসেই আসবে।
আরও পড়ুন - সঙ্গীকে কখনও বলবেন না এই ৩ শব্দ, ভেঙে যেতে পারে ভাল সম্পর্ক
দিমিত্রি রোগোজিনের ধারণা পারমাণবিক যুদ্ধ পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ ২০১৭ সালে এনভায়রনমেন্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, একটি ছোট পারমাণবিক যুদ্ধও 'পারমাণবিক বিপর্যয়' ডেকে আনতে পারে। তারআগে, একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল যে একটি ছোট পারমাণবিক বিস্ফোরণ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ৫৫ লক্ষ টন ছাই পাঠিয়ে সূর্যের আলোকে ঢেকে দিতে পারে।
এই ছাই যদি বায়ুমণ্ডলে একটানা কয়েক মাস থাকে, তাহলে সূর্যের আলো পাওয়া যাবে না। গ্রীষ্ম শেষ হয়ে শীত চলে আসবে। ফসল নষ্ট হবে। মানুষ শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। অর্থাৎ পৃথিবী বড় বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।