Advertisement

বিশ্ব

Neptune: নেপচুনের আশপাশে ওগুলো কী ঘুরে বেড়াচ্ছে? অবাক বিজ্ঞানীরা!

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 14 Sep 2021,
  • Updated 6:56 PM IST
  • 1/10

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে ১৪  সেপ্টেম্বর সৌরজগতের শেষ গ্রহ অর্থাৎ নেপচুন পৃথিবীর কাছে দৃশ্যমান হবে। তবে পিছলে পড়ে আমাদের কাছে আসছে না, শুধু   এমন অবস্থায় আসছে  যেখান থেকে পৃথিবীর সাথে  তার দূরত্ব কমবে।  এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৪.৫২  বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে  রয়েছে। কিন্তু ১৪  সেপ্টেম্বর ২০২১ অর্থাৎ আজ এটি ৪.৩০  বিলিয়ন কিলোমিটারে আসবে। কিন্তু এই গ্রহের সাথে একটি নতুন বিষয় প্রকাশ্য়ে এসেছে। এখন বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের ঠিক পিছনে কিছু অদ্ভুত কক্ষপথ খুঁজে পেয়েছেন। এতে ৪৬১টি নতুন মহাকাশ বস্তু পাওয়া গেছে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। 

  • 2/10

নেপচুনের পিছনে অদ্ভুত কক্ষপথ রয়েছে, যা ৬ বছর গবেষণার পরে পাওয়া গেছে। এই কক্ষপথে ৪৬১  টি নতুন মহাজাগতিক বস্তু পাওয়া গেছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনও দেখেননি বা লক্ষ্য করেননি। এর মধ্যে চারটি বস্তু  সূর্য থেকে ২৩০ অ্যাস্ট্রোনিমক্যাল ইউনিট দূরে। অর্থাৎ  ১৪.৯৬ কোটি কিলোমিটার। বিজ্ঞানীরা আশা করেন যে এই বস্তুগুলির গবেষণা থেকে নেপচুন সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য পাওয়া যাবে। 

  • 3/10

বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি গভীর মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ প্রক্রিয়া কী তা প্রকাশ করবে। এটি কিভাবে বড় গ্রহের চারপাশে কাজ করে? কারণ এটি সৌরজগতের শেষ। এখানে, যদি একটি বড় গ্রহ তার চারপাশে অদ্ভুত কক্ষপথ তৈরি করে এবং এর মধ্যে কিছু অদ্ভুত জিনিস আবর্তিত হয়, তাহলে এটি একটি নতুন প্রক্রিয়া যা সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। 

  • 4/10

২০১৩  সাল থেকে শুরু হওয়া ডার্ক এনার্জি জরিপের (Dark Energy Survey) মাধ্যমে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। চিলির সেরো টোলোলোতে অবস্থিত ব্ল্যাঙ্কো টেলিস্কোপের মাধ্যমে নেপচুনকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। তারপর ৮১৭  বস্তু আবিষ্কৃত হয়। এর মধ্যে ৪৬১  টি আইটেম সম্পূর্ণ নতুন। এই প্রথম দেখা গেছে। এগুলি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রি-প্রিন্ট সার্ভার arXiv এ প্রকাশিত হয়েছে। 

  • 5/10

যেসব নতুন বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে তাদের  মধ্যে কিছু কমপক্ষে  ৩০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরে রয়েছে, অর্থাৎ খুব কাছাকাছি, কিন্তু সেগুলি অন্ধকারে এবং সম্পূর্ণ একা। নেপচুন একটি নীল এবং শীতল গ্রহ। এই গ্রহের চারপাশে ৩০০০ ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্ট (TNO's) রয়েছে। নেপচুনের শীতল আবহাওয়াও তাদের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও কিছু বামন গ্রহ আছে, যেমন প্লুটো এবং এরিস। এ ছাড়াও  কুইপার বেল্টে  আরোকোথের মতো ছোট একটি বস্তু আছে। 
 

  • 6/10


আরোকোথ  (Arrokoth) ২০১৯  সালে নিউ হরিজনস মহাকাশযান দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটি কুইপার বেল্টে উপস্থিত বরফ শিলার একটি ছোট টুকরা। যা নেপচুনকে ঘিরে ঘুরছে।৪৬১  টি নতুন বস্তুর মধ্যে ৯ টিকে চরম ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তুর শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। তারা ১৫০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল  ইউনিট  দূরত্বে সূর্যের চারদিকে ঘোরে। একই সময়ে, চারটি বস্তু সূর্যের চারপাশে  ২৩০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটে ঘুরছে।

  • 7/10

এত দূরত্বে থাকা সত্ত্বেও, যেখানে নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব হ্রাস পায়, সেখানে তারা এই গ্রহের চারপাশে ঘুরছে এক অদ্ভুত ধরনের কক্ষপথে। বিজ্ঞানীরা এই জিনিসটি বুঝতে পারছেন না কারণ এটি হতে পারে যে সৌরজগতের বাইরে থেকে কিছু শক্তি তাদের উপর বস্তুগুলিকে প্রভাবিত করছে। যার কোন হিসাব বা তথ্য বিজ্ঞানীদের নেই। এই শক্তি কি এবং কিভাবে  কাজ করছে  তা তারা বুঝতে পারছেন  না। 
 

  • 8/10

যদি বিজ্ঞানীরা একবার জানতে পারেন যে এটি কোন ধরনের বল, তাহলে ভবিষ্যতে গভীর মহাকাশে গ্রহ এবং মহাকাশ বস্তুর মধ্যে মহাকর্ষীয় বলের মতো শক্তি সম্পর্কে তারা আরও তথ্য পেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা নেপচুনের চারটি নতুন নেপচুন ট্রোজানও খুঁজে পেয়েছেন। ট্রোজান হল মহাকাশ বস্তু যা একটি গ্রহ বা চাঁদের কক্ষপথ ভাগ করে নেয়।

  • 9/10

নেপচুনের ক্ষেত্রে, এই ট্রোজানরা এই  শীতল গ্রহের চারপাশে ঘুরছে এবং সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। এখানে ১৫৫  টি নতুন বস্তু রয়েছে যাকে নভোচারীরা বিচ্ছিন্ন বলেছে। অর্থাৎ, তারা নেপচুন থেকে বিচ্ছিন্ন এবং এর চারপাশে উপস্থিত। কিন্তু তাদের মধ্যে এত  দূরত্ব রয়েছে যে নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ তাদের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। তারা আমাদের সৌরজগতের কিছু অজানা শক্তির সাথে সংযুক্ত।

  • 10/10

গবেষকরা লিখেছেন যে এই প্রকাশগুলি চমৎকার। আমরা নতুন তথ্যের জন্য খুব উচ্ছ্বসিত। আমরা ক্রমাগত এই ধরনের ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তুর সন্ধান করছি। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছি। বর্তমানে, আমরা ২০ শতাংশ TNO সম্পর্কে সামান্য তথ্য পেতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন গবেষণা চলছে।

Advertisement
Advertisement