Darjeeling Car Fare : পুজোর ছুটিতে সাধারণ পাহাড়েই ঘুরতে যান বাঙালি। রাজ্যের বাইরে সবার সাধ্য হয় না, ফলে সময় ও পয়সা দুই বাঁচাতে এ রাজ্যের দার্জিলিং-কালিম্পংই ভরসা। কিন্তু সস্তার ঘোরা অনেক আগেই ঘুচেছিল, তা বলে এবার যেমন গাড়ি ভাড়া পৌঁছেছে তাতে ঘোরার পরিকল্পনা বাতিল করতে হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ পর্যটনের পুজো উপহার, উত্তরবঙ্গের ৭৫টি সম্পূর্ণ নতুন পর্যটনকেন্দ্র চালু হচ্ছে
করোনার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার পর থেকে গাড়িভাড়া আকাশছোঁয়া। আগে যেখানে সারাদিনের যে কোনও ডেস্টিনেশনের ভাড়া গড়ে ২০০০ টাকার মধ্যে ছিল, এখন সেটাই ইচ্ছেমতো হয়ে গিয়েছে। সরকারিভাবে ভাড়া কেউ বাড়ায়নি। কিন্তু গত এক বছরে যাঁরা উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা টের পেয়েছেন গাড়িভাড়ার ঝাঁঝ। এমন হয়েছে ২-৩ দিনের ছুটিতে থাকা-খাওয়া এবং ট্রেনে আসার যা ভাড়া, তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে গাড়িভাড়াতেই। পুজোর সময় পর্যটনের ভরা মরশুম, ফলে গাড়িভাড়া আরও বেশি হয়ে গিয়েছে বলে পর্যটন সার্কিটের খবর।
পাহাড়ের বেশিরভাগ ডেস্টিনেশনই হাউসফুল। যা একটু জায়গা মিলছে তা ডুয়ার্সে। অনেকে ঝামেলা এড়াতে গাড়িও বুকিং করছেন আগাম। সুযোগ বুঝে বাড়তে শুরু করেছে শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়গামী গাড়িভাড়া। গত কয়েকদিনে এনজেপি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়িভাড়া বাড়ছে চরচর করে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে নিয়মিত গাড়ির রুটের স্ট্যান্ড থেকে দার্জিলিংDarjeeling যাওয়ার গাড়ি ভাড়াও অনেকটাই বেড়েছে৷ বেড়েছে কালিম্পং (Kalimpong), সিকিম (Sikim) যাওয়ার গাড়িভাড়াও।
কত ভাড়া এখন
এখন শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন থেকে দার্জিলিং যেতে ছোটো গাড়িগুলির ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা। যেখানে কোভিডের আগে ভাড়া ছিল বড়জোর ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। অন্যদিকে রুটের শেয়ার ট্যাক্সিতে ২০০ টাকা ভাড়া এক ধাক্কায় হয়ে গিয়েছে ৩০০ টাকা। একইভাবে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে অন্য সব রুটেই। আর বাড়তি কোনও আবদার থাকলে আরও বেশি টাকা নিচ্ছে কেউ কেউ।
মহার্ঘ অফবিট
কোনও পর্যটক যদি অফবিট জায়গাগুলিতে যেতে চান, তাহলে তাঁদের আলাদা ট্যারিফ গুণতে হবে। চালকের কাছে শুনতে হচ্ছে গাড়ি ওঠে না। বেশি তেল খরচ হবে। কঠিন পথ। ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে। এ সমস্ত কথা শুনিয়ে বাড়তি রেস্ত খসিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ Astro Tips: ৪ টোটকায় চটজলদি সৌভাগ্য, লক্ষ্মীর কৃপাও উপচে পড়তে পারে
বিকল্প উপায়?
সরকারি বাস রয়েছে যাতে ১১দ টাকা সর্বোচ্চ ভাড়াতে যেতে পারবেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাস পুজোর মরশুমে নামানো হয়েছে, তবে বাসে গাড়ি যেখান সেখানে থামানোর সুবিধা মেলে না। পাশাপাশি যত পর্যটক প্রতিদিন পাহাড়ে ওঠেন, তাদের সবাইকে বাসে আসন দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারিভাবে কোনও নিয়মও নেই, লাগামছাড়া ভাড়া বাড়াতে পদক্ষেপও নেই। তাই আপাতত মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।