scorecardresearch
 

থ্যালাসেমিয়া বিভাগে এসি থেকে আগুন, আতঙ্ক আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের এসি থেকে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে।

Advertisement
আগুনে আতঙ্ক আগুনে আতঙ্ক
হাইলাইটস
  • আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে আগুন
  • আতঙ্ক ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে
  • শিশু বিভাগেও ছড়ালো আতঙ্ক

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের এসি থেকে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ আতঙ্ক ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে। থ্যালাসেমিয়া বিভাগের ঠিক পাশেই রয়েছে শিশু বিভাগ। থ্যালাসেমিয়া বিভাগে আগুন লাগার খবর পেয়েই  শিশু বিভাগের শিশুদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে পালাতে থাকে শিশুদের মায়েরা।

গোটা হাসপাতাল কার্যত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়

আলিপুরদুয়ার দমকল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আধ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও দমকল আসার আগেই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা হাসপাতালে থাকা আগুন নেভানোর গ্যাস দিয়ে আগুন বাড়তে দেয়নি। আগুন লাগার ঘটনাটি প্রথম লক্ষ্য করেন এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতা। তিনি হাসপাতালে থাকা আ্যম্বুল্যান্স চালকদের বিষয়টি জানাতেই আ্যম্বুল্যান্স চালকরা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মনকে বিষয়টি জানাতেই হাসপাতালের তরফে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। ততক্ষনে আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু কিরেছে। গোটা হাসপাতাল কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।হাসপাতালের কর্মীদের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসপাতালের দমকল কর্মীরা।

ধোঁয়া

হাসপাতাল একটা জতুগৃহ

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন হাসপাতালের কর্মী ও অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের তৎপরতায় আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে একাধিক কর্মীর অভিযোগ হাসপাতালের একাধিক যায়গায় বিদ্যুতের তারের বেহাল অবস্থা। গোটা হাসপাতালটাই একটা জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে এই অব্যবস্থা ঠিক না করলে যে কোন দিন হাসপাতালে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা প্রবল।

সচেতনতার পাঠ দমকলের

যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই কোনও অব্যবস্থা নেই। কিছু জায়গায় খানিকটা সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে সেই বিষয় গুলো ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগের সাব অফিসার সুব্রত ধর জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মী ও আ্যম্বুলেন্স চালকদের তৎপরতা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। না হলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হতে পারতো। হাসপাতালের কর্মী ও আ্যম্বুলেন্স চালকদের মতো যদি সবাই এতটা সচেতন হয় তবে আগুনের সাথে লড়াই করে অনেক ক্ষতি আটকানো সম্ভব।

Advertisement

 

Advertisement