সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছিল বেশ কয়েকমাস ধরেই। শেষমেশ লেগেই গেল ভারত-চিন সংঘর্ষ। এশিয়ার দুই 'ফিন্যান্সিয়াল জায়ান্ট '-এর লড়াইয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল চিন।
মে মাস থেকেই একে একে সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছিল চিন। পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ভারতও চিন সীমান্তে সেনা বাড়াতে শুরু করে। শুরু হয় দুই দেশের পেট্রোলিং। গালওয়ান উপত্যকায় ওয়াই পয়েন্টে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে চিন। যা নিয়ে আপত্তি জানায় ভারত।
এরপর ফিরে আসে সেই রক্তক্ষয়ী রাত। যখন গালওয়ান উপত্যকায় আগ্নেযাস্ত্রহীন ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় চিনি সেনার। অপেক্ষাকৃত উঁচু অবস্থানে থাকায় অ্যাডভান্ডেজ ছিল ড্রাগনের। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রবল প্রতিরোধের কাছে হার মানতে হয় তাদের।
ঘটনার পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়। শেষে তিন বাহিনীকে চিনা সেনার আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন প্রধানমন্ত্রী।
১৫ জুন সন্ধ্য়ে থেকে রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। যাতে এক কর্নেল ও ১৯ জওয়ান শহিদ হন। ভারত শহিদদের যথাযোগ্য সম্মান দিলেও চিন নিজেদের কত সৈনিক মারা গেছে তা জানায়নি। যা নিয়ে পরবর্তীকালে চিনি সেনার মধ্য়েই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
চিনের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি রুখে দাঁড়ায় ভারত। কূটনৈতিক পথে আলোচনার পাশাপাশি চিনা সীমান্তে বাড়তে থাকে ভারতীয় সেনা। ভারতের পাশে নৈতিক সমর্থনে এগিয়ে আসে একাধিক দেশ।
বাণিজ্যে অন্য়তম বন্ধু দেশ চিন রাতারাতি ভারতের শত্রুর তালিকায় পড়ে যায়। চিনের প্রচুর অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে চিনা কোম্পানিগুলি।
কূটনৈতিক পথে আলোচনার পাশাপাশি শুরু হয় সেনাবাহিনীর পর্যায়ে আলোচনা। ধাপে ধাপে চিনকে সেনা সরাতে বাধ্য় করে ভারত। পাশাপাশি চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতে শুরু হয় গণপ্রত্যাহার আন্দোলন। চিনের দ্রব্য় বর্জন করতে শুরু দেশবাসী।