দীপাবলি অর্থাৎ আলোর উৎসবে রাজি পোড়ানোর রীতি রয়েছে। বিশেষত শিশুরা বাড়ি পোড়ানোর জন্য মুখিয়ে বসে থাকে। তবে বাড়ির ধোঁয়া যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করে, তেমনই বাজি পোড়ানোর সময় কোনওরকম দুর্ঘটনার জেরে চোখ এবং ত্বকও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আগুনের ফুলকিতে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে চোখ। তাই বাজির পোড়ানের সময় নিরাপত্তার দিকট অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।
এই ধরনের ক্ষতি দূষণ ঘটায়
বাজির আগুন ও দূষণ চোখের ক্ষতি করে। চোখে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালচেভাব দেখা দেয়। আতশবাজি তৈরিতে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। সেগুলি দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে বাজি পোড়ানোর সময় চোখ বাঁচাতে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন।
১. বাজি থেকে চোখ বাঁচাতে, চশমা পরুন। তবে চশমার কাঁচ যেন স্বচ্ছ থাকে।
২. খোলা ও উন্মুক্ত জায়গায় বাজি পোড়ান। শিশুদের কখনওই একা বাজি পোড়াতে ছাড়বেন না।
আরও পড়ুন - ভূত কয় প্রকার ও কী কী? জানুন তেনাদের কাণ্ডকারখানা
৩. বাজিতে আগুন দেওয়ার সময় পাটকাঠি বা লম্বা কোনও লাঠি ব্যবহার করুন।
৪. তুবড়ি বা চরকিতে অনেক সময় বিস্ফোরণ হয়। তাই সেগুলি জ্বালানোর সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৫. বাজি পোড়ানোর পর না ধুয়ে হাত কখনওই চোখে দেবেন না।
৬. বাজি পোড়ানো হয়ে গেলে, পরিষ্কার জলে ভাল করে মুখ চোখ ধুয়ে নিন।
৭. কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটলে বা বাজি পোড়ানোর পর চোখে কোনওরকম সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।