এভারেস্ট। নামটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটা বিরাটত্ব। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে কথা। উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। তাই এই শৃঙ্গকে নিয়ে সারা বিশ্বেই একটা অন্য রকম আগ্রহ রয়েছে।
তবে প্রশ্ন হল, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হঠাৎ করে কেন রাখা হল মাউন্ট এভারেস্ট? এর উত্তরে বলি, জর্জ এভারেস্ট ছিলেন সার্ভেয়র জেনারল অব ইন্ডিয়া। তার নামেই এই শৃঙ্গের নামকরণ।
তবে মাথায় রাখতে হবে, জর্জ এভারেস্ট কিন্তু এই শৃঙ্গের উচ্চতা মাপেননি। বরং মেপেছিলেন একজন বাঙালি।
বাঙালি রাধানাথ শিকদারই এভারেস্টের উচ্চতা মাপার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আর শুধুমাত্র ক্রিকোণামিতির সাহায্য নিয়েই তিনি এভারেস্টের উচ্চতা মেপেছিলেন।
যদিও ইতিহাসের অতলে হারিয়ে গিয়েছে এই বাঙালির নাম। তাকে আর কেউ তেমন একটা মনেও রাখে না। আর সেই কারণেই আমাদের অনয়াসে বলা যায় আত্মবিস্মৃত জাতি।
১৮১৩ সালের ৫ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রাধানাথ। ছোট থেকেই অঙ্কে তুখড়। সেই ব্রিলিয়ান্সি চিনে নিয়েছিলেন হিন্দু কলেজের প্রফেসর জন টিটলার। তিনি রাধানাথকে শিক্ষা দেন।
ও দিকে ১৯৩১ সালে জর্জ এভারেস্ট নিজের ত্রিকোণামেট্রিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার জন্য একজন গণিতজ্ঞ খুঁজছিলেন। তখন রাধানাথ শিকদারকে খুঁজে পান তিনি।
তখন মাসিক ৩০ টাকা বেতনে রাধানত কাজ শুরু করেন এভারেস্টের অধীনে।
তিনি হিমালয়ের নানা শৃঙ্গের উচ্চতার তথ্য মাপতে থাকেন। আর সেই হিসেবনিকেশ করতে গিয়েই তিনি আবিষ্কার করেন এভারেস্টের মাপ।
১৮৫৬ সালে সেই শৃঙ্গকে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বলে ঘোষণা করা হয়। আর দুঃখের বিষয় হল, শিকদারের নাম বাদ দিয়ে সেই শৃঙ্গের নাম রাখা হয় এভারেস্টের নামে। যার মাধ্যমে আবারও চাপা পড়ে যায় বাঙালির কীর্তি।