NASA এবং SpaceX 24 নভেম্বরে এমন একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করতে চলেছে, যা দূরবর্তী মহাকাশে চক্কর দেওয়া গ্রহাণুকে ধাক্কা মারবে। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এই সংঘর্ষের ফলে গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয় কি না তা জানা।
এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে পৃথিবী রক্ষা পাবে। ২৪ নভেম্বর উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মহাকাশযানের।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মহাকাশযান দিয়ে গ্রহাণুতে ধাক্কা দেওয়ার অভিযানের তারিখও ঘোষণা করেছে। এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় ২৪,১৪০ কিলোমিটার বেগে এই গ্রহাণুটিকে ধাক্কা মারবে। যাতে গ্রহাণুর দিকের পরিবর্তন রেকর্ড করা যায়। এর পাশাপাশি, সংঘর্ষের জেরে দিক পরিবর্তন হবে কি না তাও জানা যাবে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় গ্রহাণুর বায়ুমণ্ডল, ধাতু, ধূলিকণা, মাটি ইত্যাদি নিয়েও গবেষণা করা হবে।
নাসার এক বিবৃতি অনুযায়ী, এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট। যে কৌশলটি ব্যবহার করে এই কাজটি করা হবে তাকে কাইনেটিক ইম্প্যাক্টর টেকনিক বলে। এই কৌশলটি তৈরি করা হয়েছে যাতে পৃথিবীর দিকে আসা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষের মাধ্যমে মহাকাশযানটিকে তার গতিপথ পরিবর্তন করা যায়।
যে গ্রহাণুটির উপর নাসা ডার্ট মহাকাশযানের মাধ্যমে আক্রমণ করার মিশন শুরু করতে যাচ্ছে, তার নাম ডিডাইমোস। ডিডাইমোস গ্রহাণুর ব্যাস ২৬০০ ফুট।
এর চারপাশে চাঁদের মতো একটি ছোট পাথরও রয়েছে। যার ব্যাস ৫২৫ ফুট। চাঁদের মতো ছোট এই পাথরটিকেও টার্গেট করবে নাসা।
এরপরে পৃথিবীতে টেলিস্কোপ থেকে উভয়ের গতির পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা হবে।