মৃন্ময়ী দশভূজা মায়ের মূর্তি নিজে হাতে তৈরি করে পুজো করেন মালদার ইংরেজবাজার থানার অর্ন্তগত গয়েশপুরের যুবক গোপাল।
ফলে দুর্গাপুজোয় আনন্দ থাকে অনেক। এমন উৎসাহে শামিল হন প্রতিবেশী কাকিমা থেকে বয়স্করা। শামিল হন পাড়ার কচিকাঁচারাও। পুজোর চারদিন পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
জানা গিয়েছে যুবক মৃৎশিল্পীর নাম গোপাল ভৌমিক। পরিবারের অভাবে মাধ্যমিক গন্ডি ফার করেছে। তবে এরপর স্থানীয় একটি হোমিপ্যাথি ওষুধের দোকানে কাজ করেন।
মা পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা শ্রমিক। পরিবারের এক মাত্র ছেলে গোপাল। সে ছোট থেকে পুজো করতে ভালোবাসে। ফলে মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে কখনও শিব আবার কখনও মনসা, সরস্বতী তৈরি করতে করতে তিন বছর আগে দুর্গা মূর্তি নিজে হাতে তৈরি করে পুজো করেন।
এ বছর সে নিজের উদ্যোগে মৃন্ময়ী দশভূজার মুর্তি গড়ছেন। তবে তা কোনও ক্লাব সংগঠনের জন্য নয়, নিজের হাতে আরাধনা করার জন্য। বিগ বাজেট বা থিমের বা প্রাচীন ঐতিহ্যের নয়, গোপাল নিজের আনন্দে সাবেকি প্রতিমা গড়ছেন।
নিজের ভাঙা ঘরেই পুজো করছেন নিজে হাতে মূর্তি গড়ে। প্রতিমা সাবেকি। লক্ষ্মী,গণেশ, কার্তিক,সরস্বতী,মহিষাসুর থাকে। তবে কলা বউ থাকে মাটির তৈরি।
এবার তার প্রতিমা তৈরি করে নিজের আরাধনায় মুগ্ধ হয়ে পাড়ার এক কাকিমা মা উমার সাজের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। সে নিজে হাতে সাজ গড়ছেন।
আগে বাজার থেকে পুঁতি, চুমকি জরি দিয়ে সাজ গড়তেন গোপাল। এবার প্রতিবেশি কাকিমারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ফলে কিছুটা বাড়তি উৎসাহ মিলেছে তার।
প্রতিবেশী বিপ্লব চৌধুরী বলেন, গোপালকে আমরা ছোট থেকে দেখছি। ও খুব ভালো প্রতিমা গড়ে। আন্তরিকতার সাথে পুজো করে। তাই আমরাও এই পুজোয় শামিল হয়েছি।
প্রতিবেশি কাকিমা রীতা স্বর্ণকার বলেন, ওর পূজো আমাদের ভালো লাগে। তাই এবার আমরা সাহায্য করি। ও নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করে। আমরা এবার শামিল হয়েছি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। যাতে পুজোর শ্রীবৃদ্ধি হয়।
গোপাল ভৌমিক জানান, আমি পুজো করতে ভালোবাসি তাই নিজে মা দুর্গার মুর্তি তৈরি করে পুজো করি নিজেই। তবে পুজোতে ঢাকের কাঠি পড়ে না।
বই দেখে মন্ত্র পরে নিজেই পুজো করি দুর্গার পুজার রীতি মেনেই। ষষ্ঠীতে মহানন্দার ঘাটে ঘট ভরে নিয়ে আসি। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো হয়। নবমীথে সাধ্য মত প্রসাদ বিতরণ করা হয়। দশমীতে সিঁদুর খেলা হয়।