আমাদের শরীরের রক্ত লাল দেখায়। কিন্তু এতে বিভিন্ন রঙের কোষ থাকে। রঙের মতো তাদের কাজও আলাদা। কিন্তু যখন এরা ভিন্ন রং-এর, তাহলে রক্তের রং লাল দেখায় কেন?
(फोटोः Steve Gschmeissner/Getty Images)
লোহিত রক্ত কণিকা ( Red blood cells)
রক্তের সবচেয়ে বড় অংশ হল লাল রঙে দৃশ্যমান লোহিত রক্তকণিকা। এগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় এরিথ্রোসাইট বলে। এর প্রধান কাজ শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করা। এই কোষগুলি দেখতে খুব ছোট, চ্যাপ্টা এবং বাটির মতো। তারা ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করে এবং বাইরে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে। (ছবি: গেটি)
লোহিত রক্ত কণিকা হাড়ের ভিতরে তৈরি হয় যাকে অস্থিমজ্জা বলে। লাল রক্ত কোষের জীবন ১২০ দিন। এরপর তারা নিজেদের ধ্বংস করে। তাদের অভাবের কারণে, শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। রক্তস্বল্পতা রোগ, ক্লান্তি, হৃদস্পন্দন কম, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়, লোহিত রক্তকণিকার অভাবজনিত শিশুরা সুস্থ শিশুদের তুলনায় ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে।
(ছবি: গেটি )
প্লেটলেট (Platelets)
প্লেটলেট আকারে ছোট। এগুলোও কোষ। তারা দেখতে কমলা। এটি রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এগুলিও শুধুমাত্র অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়। তাদের জীবনকাল ১০ দিনের। ডেঙ্গু হলে মানুষ প্লেটলেটের অভাবের দেখা যায়।
(ছবি: গেটি)
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells)
যখন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আমাদের শরীরে আক্রমণ করে, তখন আমাদের রক্তে উপস্থিত শ্বেত রক্তকণিকা তাদের মুখোমুখি হয়। এগুলোকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় লিম্ফোসাইট বলা হয়। যখনই শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হয়, তারাই প্রথম সক্রিয় হয়। তাদের রঙ সাদা বা খুব হালকা নীল দেখায়।
(ছবি: গেটি)
শ্বেত রক্তকণিকাও অস্থি মজ্জা থেকে তৈরি হয়। যে কোষগুলি তাদের তৈরি করে তাদের নাম হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেল। এছাড়াও তারা অনেক ধরনের কোষ ধারণ করে। টি সেল, বি সেল এবং ন্যাচারাল কিলার সেল। (ছবি: গেটি)
ম্যাক্রোফেজ (Macrophages)
এটি শ্বেত রক্তকণিকার একটি অংশ। এটি শরীর থেকে যেকোনো ধরনের প্যাথোজেন, ক্যান্সার কোষ, জীবাণু, কোষের বর্জ্য এবং অনুপ্রবেশকারীকে পরিষ্কার করে। এগুলোর কারণে শরীরে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। তাদের কাজ শুধু এখানেই শেষ নয়, এরা হাত ও পায়েরপেশীর বিকাশে সাহায্য করে। ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
(ছবি: গেটি)