করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিন ১৫ প্রবল লড়াই করে হার মানতে বাধ্য হলেন উত্তরে পরিচিত ফুটবল রেফারি ও কোচ গৌতম গুহ।
খেলার মাঠে অবশ্য তিনি সমধিক পরিচিত ভেদন নামে। তাঁর ছোটবেলার ডাক নামেই এক সময় চুটিয়ে খেলেছেন ক্রিকেট-ফুটবল।
পরবর্তীতে ক্রিকেট ছেড়ে ফুটবলে মন দেন। একই সঙ্গে ফুটবল রেফারি ও কোচ হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
সকাল হলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে হাজির হতেন প্রাতঃ অনুশীলনে। নিজের শরীর চর্চার পাশাপাশি নতুনদের টিপস দিতেন শরীরের যত্ন নেওয়ার।
গৌতমবাবুর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি শিলিগুড়ি রেফারিজ অ্যান্ড আম্পায়ারস অ্য়াসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। এক মাস আগেই তিনি নব নির্বাচিত হন। শুক্রবার সংগঠনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সব মহলেই। পেশাগতভাবে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের কর্মী ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর সতীর্থ, প্রাক্তন খেলোয়াড়, গুণমুগ্ধরা।
শিলিগুড়ি ফুটবল অ্য়াকাডেমির কোচ হিসেবে নিযুক্ত থাকার কারণে অ্যাকাডেমির উপদেষ্টা অশোক ভট্টাচার্য, রেফারি ও আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পরিমল ভৌমিকরা শোক জ্ঞাপন করেছেন।
করোনায় ১৫ দিন আগেই গৌতমবাবুর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তারপরই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর পরিবারের সুস্থতা কামনা করে প্রার্থনা করেছেন অনেকেই।
শিলিগুড়ি, তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ের একাধিক জায়গায় নিয়মিত ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করতে তিনি ছিলেন অন্যতম অপরিহার্য।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ফুটবল নিয়েই বেঁচেছেন। আদ্যোপান্ত মাঠের লোক বলতে যা বোঝায় তিনি ছিলেন তাই। তাঁর মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গের ক্রীড়া জগতে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক চিরদিনের জন্য খসে গেল।