টানা দশদিন দিনরাত এক করে নাকা চেকিং এর পর আন্তরাজ্য এবং আর্ন্তজাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের চার পান্ডা ধরা পড়ল বনদপ্তর ও সেনা বাহিনীর জালে।
অসম থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে ভুটানে পাচারের আগেই এসএসবি এবং বন দপ্তরের যৌথ অভিযানে উদ্ধার চারটি তক্ষক সহ গ্রেপ্তার চার পাচারকারী।
তক্ষক পাচারে ব্যবহৃত একটি চার চাকার মারুতি গাড়ি আটক করেছে বনদপ্তর। সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ তক্ষক পাচারের ঘটনাটি ঘটেছে আসাম-বাংলা সীমানা ঘেঁষা কুমারগ্রাম ব্লকের চকচকা চেকপোস্টে।
৩১ সি জাতীয় সড়ক ধরে আলিপুরদুয়ার কে কড়িডোর করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বন্যপ্রাণী দেহাংশ পাচারের ঘটনা নতুন নয়।
এই করিডর ধরেই দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা এলাকার সমস্ত নিরাপত্তা এজেন্সি।
শুধু বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনাই নয় এই পথেই মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড থেকে চোরাশিকারির দল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সহ বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে বন্যপ্রাণী শিকার করতে আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রবেশ করে।
মাত্র দেড় মাস আগেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে একটি গন্ডার হত্যার ঘটনায় চার অভিযুক্তকে মনিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনকর্মীরা।
এদিনের ঘটনায় কুমারগ্রামের ভলকা বারবিশা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রভাত কুমার বর্মন এবং চকচকা রেঞ্জার মলয় ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে দশদিন আগেই গোপন সূত্রে খবর আসে, একটি দল আসাম থেকে বন্যপ্রাণী নিয়ে ভুটানে পাচার করার চক্রান্ত করছে।
সেই মোতাবেক আমরা চকচকা চেকপোস্টে নাকা চেকিং শুরু করি। টানা দশ দিন নাকা চেকিং করেও আমরা কিছু পাইনি। তবু্ও তল্লাশি জারি থাকে। এদিন সকালে একটি গাড়ি চেকিং করার সময় চার যুবকের অসংলগ্ন কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়।এরপর ওই চার জনকে গাড়ি সমেত রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। তারপর গাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়।তখনই একটি ব্যাগ থেকে চারটি তক্ষক উদ্ধার হয়।