মাঘের শীতে কাঁপছে বাংলা। কনকনে ঠান্ডার কাঁপুনি কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বহাল।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই জমিয়ে ব্যাটিং করছে শীত। সোমবার ছিল মরশুমের দ্বিতীয় শীতলতম দিন। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.২ ডিগ্রিতে। এরপর নতুন বছরে সোমবার ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। তাপমাত্রার নিরিখে ফেব্রুয়ারি শুরুতে যা গত ১০ বছরে রেকর্ড। এর আগে ২০১২-র ৩ ফেব্রুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকল সোমবারের গা ঘেঁষেই। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এটাও স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম।
আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে ঘন কুয়াশার জেরে তাপমাত্রার পারদ খানিকটা বেড়েছিল। তবে, জাঁকিয়ে শীতের খামখেয়ালিপনা বহাল ছিল। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ফের ঝোড়ো ইনিংস খেলছে শীত।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী দু’তিন দিনে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। এরপর থেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কমে নামতে পারে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের কোনও কোনও জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।