Tiger in Kultali: কুলতলিতে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল বাঘ। মঙ্গলবার লোকালয়ে একটা বাঘ চলে আসে। দিনভর আতঙ্কে ছিলেন মানুষ। রাতে সেটি খাঁচায় ধরা পড়ে। লোকালয়ে বাঘের হানা, আতঙ্কিক এলাকাবাসী। লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার ভুবনেশ্বরী গ্রামে।
আরও পড়ুন: 'এক ব্য়ক্তি এক পদ নীতি' মানা হল কই! তৃণমূল-তালিকায় ৭ MLA-MP
মঙ্গলবার সকালে এলাকার মানুষ গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এতেই আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে মৈপীঠ কোস্টাল থানার পুলিশকে খবর দিলে ওসি মধুসূদন পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: চুল দিয়ে যায় ঝোলা! দুনিয়ার সবথেকে মজবুত চুল ২২ বছরের এই মহিলার
গ্রামে বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত হতেই এ বিষয়ে বন দফতরকে খবর দেয় পুলিশ। পরে স্থানীয় নলগড়া বিট অফিস ও আশপাশের রেঞ্জ অফিস থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: BJP-র বাম-দশা! ৪-এর মধ্য়ে ৩ আসনে জামানত খোয়াল পদ্ম
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় একটি ধানক্ষেতে বাঘের খোঁজ মেলে। এরপরেই ধান ক্ষেতটিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: হবু স্ত্রীর স্তন-কোমরের মাপ জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপন, বিতর্ক তুঙ্গে
বাঘটিকে ধরতে ঘুম পাড়ানি গুলি করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হলেও বন আধিকারিকরা শেষ পর্যন্ত খাঁচা পেতে বাঘ ধরার সিদ্ধান্ত নেন।
সেই মোতাবেক ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়েছে বাঘটিকে ধরার জন্য। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খাঁচায় ধরা দেয়নি বাঘ।
সকাল থেকেই গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর পেয়ে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ভুবনেশ্বরী গ্রামে। ঘটনাস্থলে এসে তদারকি শুরু করেন বন আধিকারিকরাও।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত দুদিন আগে পার্শ্ববর্তী গুড়গুড়িয়া এলাকায়ও বাঘ ঢুকেছিল লোকালয়ে। কিন্তু সেবার নিজে থেকেই জঙ্গলে ফিরে যায় বাঘ।
গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তদন্তে নেমে বন দফতর জানায় উল্টোদিকের আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ গ্রামে ঢুকলেও সে পুনরায় ফিরে গিয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ফের গ্রামে বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ মেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। তবে এবার বাঘ গ্রামে ঢুকলেও সে জঙ্গলে ফিরতে পারেনি। যদিও বাঘের হানায় এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে যাতে এলাকায় কোন অঘটন না ঘটে সেই কারণে যথেষ্ট তৎপর বন দফতর ও পুলিশ প্রশাসন।
বন দফতরের জয়েন্ট ডিরেক্টর অজয় কুমার দাস বলেন, “একটি বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা এলাকায় চলে এসেছেন। বাঘটির অবস্থান নির্ণয় করা হয়েছে। বাঘটিকে ধরতে খাঁচা পাতা হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি যাতে দ্রুত বাঘটিকে ধরা সম্ভব হয়।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা ধানক্ষেতটিকে জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। আশপাশ থেকে মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোথাও বাঘে মানুষে সংঘাত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।”