কেন্দ্রীয় কৃষি আইন, শ্রম কোড, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। দেশজুড়ে বাম-কংগ্রেস ১০টি শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট হচ্ছে। বামপন্থীদের ডাকা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে চলা এই ধর্মঘটে ২৫ কোটি শ্রমিক সামিল হয়েছে। যদিও এই ধর্মঘটে সামিল হয়নি আরএসএসের ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)। তাদের দাবি, এই ধর্মঘট আসলে রাজনৈতিক।
বনধের সমর্থনে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন অবরোধ শুরু করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। এদিন সকালেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ডোমজুড় স্টেশনে বামেদের রেল অবরোধ শুরু হয় । সিপিএম কর্মীরা লাইনের ওপর গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে। আটকে পড়ে আমতা থেকে হাওড়া গামী লোকাল ট্রেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল পুলিশ। হাওড়া কাটোয়া ডাউন লাইনের সমুদ্রগড় স্টেশনেও রেলঅবরোধ করেন স্থানীয় সিপিআইএম কর্মী ও বাম সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন। অবরোধ চলাকালীন রেল পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান বাম সমর্থকরা।
এদিন হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার চন্দননগর এবং শ্রীরামপুরে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। যার জেরে হাওড়া শাখায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্রেন পরিষেবা।
কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেও পথঅবরোধ করেন বাম কর্মী সংর্থকরা। এদিন শহরে বেসরকারি বাসের প্রায় দেখা মেলেনি। তবে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা যাতে না হয়, তাই পথে প্রায় দেড় হাজার সরকারি বাস নামাায় রাজ্য সরকার।
কলকাতা সংলগ্ন বারাসতে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধর্মঘট সমর্থকদের বিরুদ্ধে। একই চিত্র ধরা পড়েছে দক্ষিণ শহরতলীর গড়িও ও উত্তর কলকাতার চিড়িয়ামোড়েও।
বামপন্থী ট্য়াক্সি সংগঠন জানিয়েছে, আজ তাঁরা গাড়ি রাস্তায় নামাবে না। শহরের অনেক জায়গাতেই এদিন ট্যাক্সি অমিল ছিল।
দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গের বরোধ চালান বাম কর্মী সমর্থকরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম এবং কৃষি আইন-সহ নানান নীতির প্রতিবাদে এবং ৭ দফা দাবিতে দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তার জেরে অন্যরক ছবি হাওড়া ব্রিজের।
নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়ে ধর্মঘট সমর্থকদের বিক্ষোভ হাওড়ার শানপুরে।