রবিবার থেকে সমস্ত জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছিল। বৃহস্পতিবারও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি নীচে ছিল। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নীচে ছিল। কিন্তু শুক্রবার ফের চড়ল তাপমাত্রার পারদ।
সকাল থেকেই মেঘ আর কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে সূয্য়িমামা। জাঁকিয়ে ঠান্ডা উধাও কলকাতায়।
শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে গতকালের থেকে এদিন তাপমাত্রা বাড়ায় কিছুটা গরম অনুভূত হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বনিম্ন পরিমাণ ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।
এদিনও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। ফলে শুক্রবার সকালে রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাতেই ন্যুনতম তাপমাত্রা বেড়েছে দেড় থেকে দু ডিগ্রির মতো। আপাতত শীত বাড়বে না। তবে রবিবার নাগাদ ফের শীত বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
পশ্চিমবঙ্গের দুদিকে দুই ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে উত্তরপূর্ব বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে। দ্বিতীয়টি অবস্থান করছে বিহার এবং সংলগ্ন পূর্ব উত্তর প্রদেশের ওপরে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৯ নভেম্বর নাগাদ দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
তবে শনিবার থেকে আকাশ ফের পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার থেকে ফিরবে শীত। কলকাতায় তাপমাত্রা ফের ১৫ ডিগ্রি বা তারও নীচে নেমে জেতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া সাধারণভাবে শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রারও কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে তারপর আগামী ২ থেকে ৩ দিন রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তারপর আগামী ২ দিনে রাতের তামাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, মালদাতেও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে শীতে জবুথবু উত্তর ভারত। উত্তর ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে।
তুষারপাতে কাঁপছে হিমাচল থেকে কাশ্মীর।। পথঘাট, বাড়ির কার্নিশ-ছাদ, পাতাহীন গাছের ডাল— সবই তুষারের পুরু চাদরে মোড়া। ফলে জমিয়ে উপভোগ করছেন পর্যটকের দল।
রাজধানী দিল্লি থেকে মরুরাজ্য রাজস্থানে। পঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশে। শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তর ভারত।