West Bengal Rain Update: উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে একই ছবি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। অর্থাৎ, সেখানে বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সে জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
তারা জানাচ্ছে, আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হবে। ১৬, ১৭ জুলাই তা বদলে যাবে। তখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। সে সময় সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
সেখানে ১৮ জুলাই থেকে ওপরের ওপরের ৫ জেলায় দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাজারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না বলে মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। টানা বৃষ্টি হবে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে।
এই অবস্থা দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া বাকুড়ায় থাকবে। নদিয়া মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি কম হবে।
মৎস্যজীবীদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানা করা হয়েছে। তার কারণ উত্তর ওড়িশা উপকূলে রয়েছে। এখানেও প্রভাব পড়বে। ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে।
১৮ তারিখের পর থেকে উত্তরবঙ্গে ওপরের ৫ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন: যেন সিনেমার দৃশ্য! ক্রেতা সেজে বেআইনি হুক্কা বারে অভিযানে পুলিশ, ধৃত ৫
আরও পড়ুন: আকাদেমি প্রাঙ্গনে বুধবার থেকে শুরু লিটল ম্য়াগাজিন মেলা
আরও পড়ুন: 'ওঁকে মালা পরে ঘুরতে বলো,' শুভেন্দুকে কটাক্ষ পার্থর
দক্ষিণবঙ্গে বার বার বৃষ্টি হবে বার বার অল্প অল্প করে। বৃষ্টি হবে আবার থেমে যাবে। তা-ও সব জেলায় নয়।
উত্তরবঙ্গে ৩ জুন এবং দক্ষিণবঙ্গে ১৮ জুন বর্ষা এসেছে। তবে ঘাটতি হিসেব করলে ১ জুন থেকে ধরি, তা হলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বেশি। রাজ্যে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি রয়েছে।
রাজ্য সরকার বলে দিয়েছে, পাট পচানোর জল কী করে কাজে লাগাতে হবে। ধানচাষের জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখানে ধানচাষের জন্য ১৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চারা রোপন করা হয়। জুনের ঘাটতি ঝানচাষের ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা জুলাই-আগস্টের বৃষ্টি।
কারণ জুনে তো কেউ ধান লাগান না। তা হয় জুলাই-আগস্টে। তাই পরে বলা যাবে কতটা সমস্য়া হতে পারে ধানচাষের।