West Bengal Weather Monsoon Kolkata Rain: উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গে এবারের বর্ষার ছবি পুরোপুরি আলাদা। দক্ষিণবঙ্গে ৪৯ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত ৫০ শতাংশ বেশি হয়েছে। কলকাতায় জুন মাস পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি ৫৯ শতাংশ। এ বছর জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে ১১৫ মিলিমিটার। যেখানে স্বাভাবিক হওয়ার কথা প্রায় ২৮৩ মিলিমিটার। এটা বিরলই বলা চলে। এ কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
তারা আরও জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে ৯১.৫ মিনি, ২০০৯ সালে ৯১.৮ মিমি, ২০২২ ১১৫.৮, আবার ২০০৬ সালে ১১৯.৪ মিমি বৃষ্টিপাত।
৩-৪ বার জুন মাসে ৫০-৬০ শতাংশ কম। কবে বর্ষা এসেছে, তার ওপর নির্ভর করছে। বর্ষা দেরিতে এলে এমন হতে পারে। এবার যেমন ১৮ জুন এসেছে। ফলে ১ থেকে ১ জুন তো বৃষ্টি হয়নি। তাই বাকি ১০ দিনে মাসের যে মেক আপ তা হয়ে ওঠেনি।
উত্তরবঙ্গে ছবি উল্টো। ৭ তারিখে ঢোকার কথা কিন্তু ৩ জুন ঢুকেছে। উত্তরবঙ্গে যখন বর্ষা ঢোকে, তখন মৌসুমী বায়ু খুব সক্রিয় ছিল।
দক্ষিণবঙ্গে এ বার বর্ষা ঢুকেছে ১৮ জুন ঠিকই। কিন্তু খুব দুর্বল ভাবে। ফলে সেই তুলনায় সেই শক্তি ছিল না। ঢোকার সময় যে বৃষ্টি পাই, সেটা পাইনি।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে গেলে যেটা লাগবে সেটা হল নিম্নচাপ। অর্থাৎ সাগরে বা বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বে নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপের হাত ধরে দক্ষিণবঙ্গে বশি বৃষ্টি যেটা বলতে সেটা আমরা পাইনি। তো সেটা জুন মাসে একটাও হয়নি। জুলাই মাসের বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলে সেটাও হয়নি। তাই এই ঘাটতি।
তবে জুনের ঘাটতি এই কারণে সিরিয়াস নয়, কারণ যদি জুলাই মাসে পুষিয়ে দেয়। জুলাই মাসে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ধান চাষের জন্য সেরা সময়। সে সময় বীজতলা তৈরির জন্য সবথেকে ভাল।
আরও পড়ুন: আইটিআর ফাইলের শেষ সুযোগ, জেনে নিন তারিখ
আরও পড়ুন: SIT মানছি না, তদন্তকারীদের সামনেই প্রত্যাখ্যান অনিসের বাবার
আরও পড়ুন: প্য়ান কার্ড হারিয়েছে? এগুলো করুন, সহজে পেয়ে যাবেন
আগামী পাঁচদিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা ভাল নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্য়ুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির দাপট কম থাকবে। সেখানে যে ভয়বহ বৃষ্টির ফলে যে খারাপ খারাপ আবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা থেকে একটা সামাল দেওয়ার উপায় পাওয়া যাবে। কারণ আগামী ৫ দিন সেখানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই।
কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। তবে আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। সেখানে কিছু জায়গায় হবে, কিছু জায়গায় হবে না। এবং তার পরিমাও বেশি নয়।
বৃষ্টি যেহেতু কম হবে, তাই দিনের বেলার তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকবে। আর্দ্রতাজনিত যে অস্বস্তি, যেটা গরমকালে পাওয়া যায়, সেটাও থাকবে। বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও সেটা থাকবে।