পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী তথা প্রাক্তন জাতীয় খেলোয়াড় মনোজ তিওয়ারি ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে দুই ইনিংসে অনবদ্য ৭৩ এবং ১৩৬ রান করেছিলেন। তিওয়ারি তার ২৮ তম প্রথম-শ্রেণির সেঞ্চুরি করার পরে উচ্ছ্বসিত হন। এই মাইলফলক পৌঁছনোর পরে শিখর ধাওয়ানের মতো "থাই-ফাইভ" সেলিব্রেশন করেন।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দিনে বাংলা ৭৫০ রান তাদের লিড পৌঁছে দেয়। ১৮৫ বলে দুর্দান্ত ১৩৬ রান করার পর বাংলার মন্ত্রী ও অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরে যান। বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তার প্রথম প্রথম শ্রেণির শতরান।
২০১৯-২০ মরশুমে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর শেষ তিন অঙ্কের স্কোর ছিল অপরাজিত ৩০৩। মনোজ বছরের পর বছর ধরে বাংলা দলের মূল ব্যাটার এবং দলের মিডল অর্ডারের কাণ্ডারি হিসেবে তিনি দলকে ভরসা যুগিয়ে এসেছে। যখন তিনি দলের ব্যাটিং লাইন আপের পাশাপাশি দলের তরুণদের গাইড করতে পারেন।
৩৬ বছর বয়সী প্রাক্তন বাংলার অধিনায়ক বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিজেপির রথীন চক্রবর্তীকে পরাজিত করে শিবপুর কেন্দ্রে জয়ী হন। তিনি বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তাঁরই সতীর্থ প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লার জায়গায় ক্রীড়া দফতরে আসেন।
এর আগে ২০২১ সালে, টুর্নামেন্টটি পুনর্নিধারিত হওয়ার আগে, মনোজ তিওয়ারিকে রঞ্জি ট্রফির জন্য ২১ সদস্যের বেঙ্গল স্কোয়াডে নাম দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০২০ সালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাংলার রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের অংশ ছিলেন।
মনোজ তিওয়ারি সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি ২০২১ এর সময় প্রতিযোগিতামূলক অ্যাকশনে ফিরে আসেন এবং গত বছরের জানুয়ারিতে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেন। তিনি ভারতের হয়ে ১২টি ওডিআই এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার শেষ উপস্থিতি ২০১৫ সালে এসেছিল ৷ তিওয়ারি ১২৫ টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ এবং ১৬৩ টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৪ হাজারএর বেশি রান করেছেন৷