অরন্য সপ্তাহ চলাকালীন খুশির খবর বক্সা টাইগার রিজার্ভে। জঙ্গল রক্ষায় দেশের মধ্যে অষ্টম স্থান দখল করে নিলো এই অভয়ারণ্য।
একটানা জঙ্গল রক্ষা, ফুট পেট্রোলিং সহ বিভিন্ন পরিমাপের ভিত্তিতে জঙ্গল রক্ষায় দেশের মধ্যে অষ্টম স্থান পেল বক্সা টাইগার রিজার্ভ।
লকডাউন পরিস্থিতিতেও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার বর্গকিমি পায়ে হেঁটে পেট্রোলিং করেছেন। পাশাপাশি মোটর গাড়ি, ৫ টি হাতি, বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরদের নিয়েও চলেছে গভীর জঙ্গলে নজরদারি।
হলুদ ডোরাকাটাদের ডেরা সুরক্ষিত রাখতে নীচুতলার কর্মীদের সাথে আধিকারিক পদ মর্যাদার কর্মীরাও জঙ্গল রক্ষায় অবিচল কাজ করে গিয়েছেন।
গত এক বছর ধরে দেশের ৩৫ টি বাঘ্র প্রকল্পে সার্ভে করেছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি, ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলো।
সার্ভের ফলাফল থেকে উঠে এসেছে সাফল্যের তথ্য।বক্সা বাঘ বনের নতুন সাফল্যের প্রশংসা করেছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। বনমন্ত্রী বলেন, খুবই বড় সাফল্য। আমাদের বনকর্মীরা দিনরাত জঙ্গল রক্ষার কাজ করছেন। এই তথ্য তা অনেকটাই প্রমাণ করে। তবে আমরা আত্নসন্তুষ্ট হতে চাই না। আরও এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।
৭৬২ বর্গকিমির বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে চোরাকারবারিদের দাপট রয়েছে। উত্তর পূর্বের দুষ্কৃতীদের নজর থাকে সারা বছর। লকডাউন পরিস্থিতিতে জঙ্গল রক্ষা আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
পাশাপাশি ভৌগোলিক চরিত্র যথেষ্ট জটিল বক্সার। জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব দিকে আসাম সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। দিনরাত চলছে পেট্রোলিং,নজর রাখা হয় ১৪ টি স্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার থেকে।
নামানো হয়েছে আসাম সীমান্ত বরাবর ৩ টি প্রশিক্ষিত হাতি,আছে প্রশিক্ষিত ট্র্যাকার ডগ। তৈরি করা হয়েছে ৫ টি রিভারক্যাম্প।
পাশাপাশি রায়ডাক, সঙ্কোশ, অসম সীমান্ত লাগোয়া দুই নদীতে চলছে রিভার পেট্রোলিং। দুটি স্পেশাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। দুটি স্পর্শকাতর বিট এলাকায়।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের ডিএফডি পি হরিশ বলেন, আমরা সকলেই পেট্রোলিং এ অংশ নিচ্ছি। গত দুমাসে যথেষ্ট সফল বনকর্মীরা। উদ্ধার করা হয়েছে মূল্যবান কাঠ, আটক করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, ধরা পরেছে বেশ কিছু অভিযুক্ত।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর বুদ্ধরাজ শেওয়া বলেন, জঙ্গল রক্ষাই আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বের। জানা গিয়েছে, এম স্ট্রাইপ অ্যাপ নির্ভর পেট্রোলিং নিয়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে বনকর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এতে জঙ্গলের কোর, বাফার এলাকায় কতটা পেট্রোলিং হয়েছে, কিকি বন্যপ্রাণী দেখা যাচ্ছে,কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর যাবতীয় তথ্য ধরে রাখা যায়।