কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রবিবারই কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে হিতেন বর্মনকে অপসারণের চিঠি কোচবিহার জেলা শিক্ষা দফতরে এসে পৌঁছেছে। সেই চিঠিতে হিতেন বর্মনকে অপসারিত করার কথা বলা হলেও, কেন এই সিদ্ধান্ত তা জানানো হয়নি। তবে শিক্ষা ও স্থানীয় মহলে গুঞ্জন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে হইচই শুরু হওয়ার পরই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এর পিছনে কোনও কারণ থাকতে পারে। তবে তা কী এখনও পরিষ্কার নয়। তাঁকে সরানো নিয়ে মুখ খোলেননি হিতেনবাবু।
হিতেন বর্মনকে গত বছর অগাস্ট মাসে ওই পদে বসানো হয়েছিল। এক বছর হওয়ার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সংসদের পরিদর্শক ওই পদ সামলাবেন। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার কয়েকজন শিক্ষকের নথিপত্র ওপর মহল থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তারপরই তার জেরেই হিতেন বর্মনকে সরিয়ে দেওয়া হল, গুঞ্জন ছড়িয়েছে সব মহলে।
সম্প্রতি বাম আমলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর হাইকোর্টের রায়ে চাকরি যায়। তাঁকে চাকরিজীবনের সমস্ত টাকা মামলাকারী প্রার্থীকে ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২৬৯ জন স্কুল শিক্ষকের। এর মধ্যে ৩২ জন কোচবিহারের। সেই তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতাও। এবার এর মধ্য়েই হিতেনকে সরানোতে অন্য় গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধী থেকে অনেকেই।তাঁর জায়গায় আপাতত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল দে-কে। হিতেনকে কেন সরানো হল, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।