হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে লাগানো পতাকা পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আরামবাগে টিএমসি - বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক কাজিয়াকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। ঘটনা সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল জানান যে আজকে সকালের এই অভিযোগে কিছু লোকেরা অল্প সময়ের জন্য রাস্তা অবরোধের বসেছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পুলিশ খতিয়ে দেখবে।
এলাকায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে। বিজেপি নেতা কর্মীরা আরামবাগ- বর্ধমান রাজ্য সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। তাঁদের দাবি দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি না মেলা পর্যন্ত তাঁরা এলাকা থেকে সরবেন না।
অভিযোগ, আনুষ্ঠানিকভাবে হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করার জন্য আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে আরামবাগের পল্লীশ্রী মোড়ে হনুমান মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পতাকা ও ধ্বজা ফেস্টুন ব্যানার লাগায়। অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সে সমস্ত পতাকা ছিঁড়ে ও খুলে ফেলে দেয় রাস্তার উপর।
এরপরই সকালে নজরে আসে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। তারপর দোষী ব্যক্তিদের ওই ঘটনার সাথে জড়িত দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে আরামবাগ-বাঁকুড়া-বর্ধমান রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আশ্বস্ত করে অবরোধ তুলে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরামবাগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাগ হয়েছে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি।
বিজেপি তরফ থেকে প্রদেশ বিজেপি সম্পাদক এবং বিধায়ক বিমান ঘোষ জানান এই ঘটনা সমাজবিরোধীদের কাজ। তার পিছনে নিশ্চয়ই তৃণমূলের ইন্ধন হতে পারে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে আরামবাগ পৌরসভা প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী জানান তৃণমূল কংগ্রেস সব ধর্মের ধর্মীয় আবেগকে শ্রদ্ধা করে। তারা কোনওদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। তিনি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক।