সারা দেশের মানুষ করোনার বাড় বাড়ন্তে একেবারে ভীত। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু মিছিল। এই সময়ে বিন্দুমাত্র গাফিলতি মানব জীবনে ডেকে আনতে পারে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি। তাই মাস্ক পরা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। এটিই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই মুহূর্তে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডবল মাস্ক পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অনেকেই সঠিক নিয়ম না জেনে ভুল করছেন মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও। যা ডেকে আনতে পারে আরও বিপদ। তাই এক নজরে দেখে নিন ডবল মাস্ক পরা কতটা কার্যকর এবং এর সঠিক নিয়মগুলি।
সার্জিক্যাল মাস্ক
এই মাস্ক ৫৬.১% ভাইরাস আটকাটে পারে। কানের পিছনে পেঁচিয়ে পরা সার্জিক্যাল মাস্ক অন্যদিকে ৭৭ % ভাইরাস আটকাটে পারে।
কাপড়ের মাস্ক
বাজারে নানা রকমের ফ্যাশনেবল কাপড়ের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ সেটিকেই বেছে নিচ্ছিলেন গত কয়েক মাস ধরে। এই ধরণের মাস্ক ৫১.৪ % ভাইরাস আটকাটে পারে।
ডবল মাস্ক
জোড়া মাস্ক অর্থাৎ সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর কাপড়ের মাস্ক পড়লে ৯৫.৪ শতাংশ ভাইরাস আটকাটে পারে।
N95/ KN95
এই ধরণের মাস্ক এই মুহূর্তে পরা সবচেয়ে ভাল। মনে করা হচ্ছে এই ধরণের মাস্কগুলি ৯০-৯৫ % ভাইরাস আটকাটে পারে। তবে অবশ্যই ভা
দুটো মাস্ক পরার সঠিক পদ্ধতি
একটি সার্জিক্যাল মাস্কের উপর একটি কাপড়ের মাস্ক পরা সবচেয়ে ভাল। এতে ভাইরাস আটকায় অনেকাংশেই। অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না KN95 মাস্ক কেনা। তাই তাঁরা জোড়া মাস্ক পরতে পারেন।
কখনই দুটি সার্জিক্যাল মাস্ক বা দুটি কাপড়ের মাস্ক পরবেন না। এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।
N95 বা KN95 মাস্কের সঙ্গে আর কোনও মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। কারণ এই শ্রনের মাস্ক সবচেয়ে বেশি ভাইরাস আটকাতে পারে।