আজই মধ্যরাতের দিকে ঘূর্ণিঝড় মোকায় (Cyclone Mocha) পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এটি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাতের দিকে ধীরে ধীরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরে এটি ধীরে ধীরে রিকার্ভ করে ১২ই মে সকাল থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এরপর ১৩ মে সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ তীব্রতায় পৌঁছাবে। এর পরে ১৪ মে সকালের দিকে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ-সহ ১৪ মে দুপুর নাগাদ বাংলাদেশেরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কিউকপিউয়ের মধ্যবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ ও উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় সেভাবে পড়বে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তি বাড়িয়েছে গরম। আজ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তপমাত্রা ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি।
উপকূলবর্তী থানা এলাকাগুলিতে তৎপরতা
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলবর্তী থানা এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং। সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষজনকে সচেতন করতেই এই মাইকিং বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার সকাল থেকেই এই মাইকিং শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালেও সুন্দরবন পুলিশ জেলা ও বারুইপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নদীবক্ষে মাইকিং চালালো পুলিশ।
বাংলায় ঘূর্ণঝড় মোকার তাণ্ডবের খুব একটা পূর্বাভাস না থাকলেও আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও রকম দুর্যোগ ঠেকাতে তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও। তারই ফলস্পরূপ জোর কদমে শুরু করা হয়েছে মাইকে প্রচার।
গতকালের মতো আজও সকাল থেকে সুন্দরবন পুলিশ জেলার উপকূলবর্তী থানাগুলির পক্ষ থেকে এলাকার মানুষজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপকূলীয় গ্রামগুলির পাশাপাশি নদীপথে ও লঞ্চের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হলে নিকটবর্তী ফ্লাড শেল্টারে চলে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের।
এদিকে কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মহড়া দিচ্ছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। বেহাল নদীবাঁধ গুলিতে চলছে জোরকদমে মেরামতির কাজ।
কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে চালু রয়েছে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - মমতায় 'গুস্সা' শুভাপ্রসন্নর, প্রসন্ন করতে আসরে কুণাল, কী ঘটেছে?
ক্ষয়ক্ষতির পূর্বাভাস না থাকলেও কমবেশি আতঙ্কিত উপকূলবর্তী মানুষজন। সেক্ষেত্রে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন।