যারা জিটিএ নিয়েই সন্তুষ্ট রয়েছেন, জিটিএ'র চেয়ারের দিকে যাদের নজর রয়েছে, তাঁদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাকার কোনও প্রয়োজন নেই। শনিবার দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা।
শুধু সহযোগীদের ডাক বৈঠকে
পাহাড় সমস্যার সমাধান নিয়ে আগামী ১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকে দিল্লিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বৈঠকে যোগদানের জন্য পাহাড়ে বিজেপির সহযোগী দল জিএনএলএফ (GNLF) এর সভাপতি বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেও বাকি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বৈঠক এ আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের বিধায়ককে বৈঠকে ডাকা হলেও কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচাকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যা নিয়ে পাহাড়জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জিটিএ নয়, গোর্খাদের সমস্য়া নিয়ে বৈঠক
তবে শনিবার দিল্লি থেকে দার্জিলিং জেলায় পৌঁছে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যম মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, "আগেই বলে দিই ১২ অক্টোবর কেন্দ্রের ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ নিয়ে কোন বৈঠক নয়। গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের বৈঠক ৷ সেই বৈঠকেই পাহাড়ের পাশাপাশি তরাই-ডুয়ার্সের গোর্খাদের সমস্যা সমাধানে অনেক পথ খুলে যাবে।"
যাঁরা বৈঠকে থাকতে চান, আবেদন করুন
তবে বৈঠকে মোর্চা নেতা বিমল গুরুং ও অনিত থাপার নতুন রাজনৈতিক দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে না আমন্ত্রণ করার বিষয়ে সাংসদ বলেন, "যাদের নজর জিটিএ'র চেয়ারের দিকে রয়েছে, তাদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। জিটিএ নিয়ে যারা সন্তুষ্ট রয়েছে এবং যারা পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চায় না তাদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। তারপরেও যদি কেউ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চান, আমাকে জানালে আমি অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে আবেদন করব।"
এদিনই শিলিগুড়িতে আসেন রাজু
এদিন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। কার্শিয়াংয়ে পা রাখতেই সাংসদকে স্বাগত জানায় জিএনএলএফ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা সহ জিএনএলএফের কর্মী সমর্থকরা।