Rabindranath Tagore's Mongpu Bunglow: সেজে উঠছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিস্পর্শিত মংপুর বাংলো। বেশ কিছুদিন ধরে সে কাজ শুরু হয়েছে। সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পাশেই তৈরি হচ্ছে মুক্তমঞ্চ।
পাহাড়ের কোলে রয়েছে ওই বাড়ি। পাশে সিঙ্কোনা থেকে ওষুধ তৈরির কারখানা। ১৯৩৮ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার মংপুতে এসে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন।
বলা যেতে পারে, দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলার ফলে হাল বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। গোর্খা আন্দোলনের জেরে আগুনে পুড়ে যায় সেটা। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তা সারাই করা হচ্ছে।
তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। সহযোগিতায় গোর্খাল্যান্ডের টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। রবীন্দ্র ভবনের পাশেই তৈরি হচ্ছে একটি মুক্ত মঞ্চ। সেটা নান্দনিক ভাবে খুব সুন্দর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তৈরি করছে জিটিএ। সেখানকার মানুষজন এমনই জানালেন।
টুকটুক করে সারাইয়ের কাজ চলছে। এদিক-ওদিকে কাঠমিস্ত্রিরা ব্যস্ত সে কাজ শেষ করার দিকে।
মৈত্রেয়ী দেবীর 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ' লেখায় কবির ব্যাপারে অনেক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। সেখানে তিনি লিখছেন, 'পঁচিশে বৈশাখের দুতিন দিন আগে এখটা রবিবার (২২ বৈশাখ) এখানে উৎসবের বন্দোবস্ত হোলো। সকালবেলা দশটার সময় স্নান করে কালোজামা কালো রং-এর জুতা পরে বাইরে এসে বসলেন (গুরুদেব)।'
অন্যান্য সময়ে পর্যটকরা যেতে পারতেন। এবং তা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গাও বটে।
তবে এখন সংস্কারের কাজ চলছে। আর সে জন্য বন্ধ রয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে সেখানে ঢুকতে খুব একটা অসুবিধা হল না।
কারণ সেখানে ঢোকার সময় কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
দার্জিলিং থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ভবন।
আরও পড়ুন: আখরোটের চাটনি-গোস্তাবা, শহরে খাস কাশ্মিরী খানার দাওয়াত শালওয়ালাদের
আরও পড়ুন: আপনার পার্টনারের এই ৬ জিনিস খেয়াল করুন, আসল জিনিস জানতে পারবেন
আরও পড়ুন: Sara Ali Khan চুলে নীল রং করালেন, নতুন প্রোজেক্ট শুরু?
মূল ঐতিহাসিক কাঠামো ঠিক রেখে ওই ভবন সুন্দর করে তোলা হচ্ছে ভেতরে বাইরে রং করা হচ্ছে বা প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ সেরে নেওয়া হচ্ছে।
সেখানে গিয়ে জানা গেল ওর পাশে তৈরি হচ্ছে ট্রি হাউস এবং বাংলো। পর্যটনের নয়া দিগন্ত খুলে দেবে যেন।
সেখানে কবির ব্যবহার করা খাট, লেখার ডেস্ক, রঙের প্যালেট ওষুধের শিশি, অনেক ছবি।
এই ভবন থেকে উপহার পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু কবিতা, ছবি। সেখানে কবি বেশ কয়েকটা কবিতা লিখেছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে 'জন্মদিন','ক্যামেলিয়া'। তিনি বেশ কয়েকটা ছবিও এঁকেছিলেন। সেগুলো রাখা হয়েছে ভবনের সংগ্রহশালায়। কী করে যাওয়া যায় সেখানে? মংপুর রবীন্দ্র ভবনে পৌঁছনোর দু'টো রাস্তা আছে। একটা হল দার্জিলিং পেশক রোড ধরে থেকে রাম্ভি। আর অন্যটা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সেবক কালিঝোরা হয়ে মংপু।